স্টাফ রিপোর্টার : ব্র্যান্ডিং শহর চাঁদপুর পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্য্য বর্ধন শহরে পরিণত করতে প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছে পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে তিনি বারবার হোচট খাচ্ছেন। তারপরও তাঁর তৎপরতা থেমে নেই। বর্তমানে চাঁদপুর পৌরসভার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অবাধে বেওয়ারিশ গরুর বিচরণ।
প্রতিদিন সকাল হলেই এসব বেওয়ারিশ গরুগুলো শহরের রাস্তাঘাটসহ ডাস্টবিনগুলো চষে বেড়ায়। বিশেষ করে ডাস্টবিলগুলোতে বেওয়ারিশ গরু ঢুকে ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাস্তার উপর পর্যন্ত নিয়ে আসছে।
এর ফলে ময়লা-আবর্জনা পঁচে এর দূর্গন্ধ ছড়িয়ে আশ-পাশের পরিবেশ হচ্ছে মারাত্মক দূষিত। দুর্গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে রোগ জীবানুসহ বায়ু হচ্ছে দূষিত। এতে পরিবেশ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ে। দুর্গন্ধে সাধারণ পথচারীসহ স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বেওয়ারিশ গরুর বিচরন থাকে শহরের প্রায় সবগুলো ডাস্টবিন জুড়ে। কোথা থেকে আসে, কে এই গরুগুলোর মালিক কেউই বলতে পারছে না। এক সময় দেখা যেত ডাস্টবিনগুলোতে কুকুরের বিচরন। এখন তেমন একটা কুকুরের বিচরন দেখা না গেলেও প্রতিটি ডাস্টবিনে এখন গরুর বিচরন লক্ষণীয়।
ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনার স্তুপে কি কি থাকে এটা সকলেরই জানা রয়েছে, আর সেই ময়লা আবর্জনা খাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত এই গরুগুলো ডাস্টবিনে পড়ে থাকে। যে সকল গরু এই ডাস্টবিনের খাবার খাচ্ছে সে সকল গরুর দুধ অথবা মাংস কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত সেটাও সকলের জানার বাইরে নয়। এদিকে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলার যে দ্বায়িত্ব শহরের নাগরিকদের এই দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ হচ্ছে শহরবাসী।
নির্দিষ্ট জায়গায় ডাস্টবিন থাকলেও অবহেলা কিংবা কর্তব্যবোধের অভাবে ময়লা আবর্জনা নিজ বাসা বাড়ী অথবা অন্যের বাসাবাড়ীর আশ-পাশে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে ময়লা-আবর্জনা পঁচে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে আশ-পাশের পরিবেশও হচ্ছে দূষিত। পরিবেশ দূষণকারী এই বেওয়ারিশ গরুগুলোর ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছে পৌরবাসী।
যদি গরুর মালিক থেকে থাকে তাহলে অতিদ্রæত এর মালিকদের ডেকে এনে বলে দেয়া হয়, যাতে করে তাদের গরুগুলোকে যেন না ছাড়ে। অন্যথায় এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে শহরকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবেন পৌর কর্তৃপক্ষ। সর্বোপরি আপনার-আমার শহর, আপনি আমিই এ শহরকে পরিস্কার রাখি।
নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেই শহর পরিস্কার রাখা সম্ভব। অপরদিকে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যথাসময়ে শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে কি না, তা সজাগ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছেন পৌরবাসী। তাদের দাবী প্রয়োজনে ডাস্টবিনগুলোর পাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করার ব্যবস্থা নেয়া।