চাঁদপুর মেঘনার চরে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহর থেকে ৭কি:মি: দুরে গড়ে উঠা মেঘনা ত্রিমোহনা সিব্রীজ ও মিনি কক্সবাজারের মেঘনা নদীতে সাঁতার দিয়ে আনন্দ করতে গিয়ে ৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে মেঘনার ঢেউয়ের আঘাতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ রাশেদুল ইসলাম রাফিদ নামের কলেজ ছাত্রের লাশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে বালু চর এলাকা থেকে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পর পদ্মা-মেঘনা নদীর মোহনার অদুরে জেগে উঠা চর থেকে কুমিল্লা মডেল কলেজের ছাত্র রাশেদুল ইসলাম রাফির মরদেহ সন্ধান পায় পুলিশ।

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ জানান, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবরি দলের সদস্যরা প্রায় ২০ ঘন্টা পর ব্যাপক চেস্টা চালিযে কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে। বুধবার সকালে ৮ জনের একটি দল কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর মেঘনা চরে আসে।

সেখানেই একত্রে গোসল করা অবস্থায় নিখোঁজ হয়। রাফিদ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডার্ন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটে ছিল,গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় চাঁদপুর শহরের মেঘনার পশ্চিম পাড় মিনি কক্যবাজার সিবীজে।

কুমিল্লা থেকে এসে ৮ বন্ধু মেঘনায় দুপুরে সাতার দেয়। এ সময় পানি বৃদ্বি পেলে ৮ বন্ধু শিক্ষার্থী সাতাঁর দেওয়া অবস্থায় রাশেদুল ইসলাম রাফিদ মেঘনা নদীর ত্রিমোহনা এলাকায় তলিয়ে যায়।

নিখোঁজ শিক্ষাথী রাশেদুল ইসলাম রাফিদের সহপাঠী রুবায়েদ সাবাব সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকালে তারা ৮ বন্ধু চাঁদপুর বেড়াতে আসে। এ সময়ে তারা মেঘনা নদীর চরে (মিনি কক্সবাজার) যায়। সবাই মিলে পানিতে নেমে ডুবাতে থাকে। বেলা পৌনে ১টায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে সাঁতার না জানায় রাশেদুল ইসলাম রাফিদ পানিতে তলিয়ে যায়।

বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলেও রাফিদের সন্ধান পায়নি। খবর পেয়ে চাঁদপুর নৌ দমকল বাহিনীর ডুবুরীরা এসে সন্ধান করতে থাকে। নিখোঁজ শিক্ষাথী রাফিদ কুমিল্লার বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। তাদের বাসা টমছম ব্রিজ এলাকায়।

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন জানান, কুমিল্লার কলেজ ছাত্র রাফির মরদেহ পাওয়ার সাথে সাথে তার পরিবারকে জানানো হয়। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই হস্তান্তার করা হয়েছে।

একই রকম খবর