চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঘাট ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মে) জরুরী সভা করেছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। সভায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। সভায় নৌপুলিশ ,ঘাট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় যাত্রী সাধারণের যাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে:
১৷ লঞ্চঘাট নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
২৷ ঘাটের ডেকে কোন মালামাল রাখতে না দেয়া ও হকার বসতে না দেয়া।
৩৷ ঘাটে কর্মরত কুলিদের আইডি কার্ড দেয়া ও তা গলায় ঝুলিয়ে রাখা।
৪৷ মালামাল লোডিং ও আনলোডিং এর সরকার নির্ধারিত চার্জের তালিকা ১ তারিখের মধ্যে দৃশ্যমান স্থানে টানানো।
৫৷ চালক ও স্টাফ কর্তৃক যাত্রীদের অযথা ডাকাডাকি বন্ধ ।
৬৷ সিএনজি ও অটোরিকশা বিআইডবিøউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করে থাকবে।
৭৷ সিএনজি ও অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কোনক্রমেই ২৫ % এর চেয়ে বেশি দাবী করতে পারবেনা ( শুধু ঈদ উপলক্ষে)।
৮৷ লঞ্চে ময়লা ফেলার জন্য প্রত্যেক ফ্লোরে পর্যাপ্ত ময়লার ঝুড়ি রাখতে হবে ।
৯৷ লঞ্চ পরিস্কার করে ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলা যাবে না, ঘাটে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। পৌরসভা একটি নির্দিষ্ট তারিখ পরপর এসব ময়লা নিয়ে যাবে।
১০৷ ১ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে।
১১৷ কন্ট্রোলরুমে যে কোন ঘোষনা বা নির্দেশনা দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক মাইক থাকবে।
১২৷ লঞ্চের টপ ছাদে কোন অবস্থায় যাত্রী ওঠানো যাবেনা।
১৩৷ চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী ঈদের পরদিন থেকে লঞ্চ গুলো যাত্রী ধারনক্ষমতা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া মাত্র ঘাট ছেড়ে যাবে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করবেনা।
১৪৷ ১নং গ্যাংওয়ে দিয়ে যাত্রী ঘাটে ঢুকবে এবং ২ ও ৩ নং গ্যাংওয়ে দিয়ে পল্টুন থেকে বের হবে।
১৫৷ শহর থেকে লঞ্চঘাটে যাওয়া আসার সকল যানবাহন পুলিশ কর্তৃক ওয়ানওয়ে রোড ব্যবহার করবে।
১৬৷ মাঝপথে কোন লঞ্চ নৌকা থেকে যাত্রী কোন অবস্থায় উঠাবেনা ।
১৭। কন্ট্রোলরুমে যাত্রী সাধারণের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকবে।
১৮৷ লঞ্চঘাটের টয়লেট টি নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হবে।
১৯৷কন্ট্রোলরুমে ও ঘাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,জেলা পুলিশ ,নৌ পুলিশ ও বিআইডবিøউটিএ কর্মকর্তাবৃন্দ নিয়মিত ডিউটি করবেন।
২০। রাতের বেলা কোন বাল্কহেড চলতে দেয়া হবেনা।
২১৷ ঈদের ৭ দিন আগে ও পরে লঞ্চ চলাচলের রুটে কোন বাল্কহেড চলাচল করতে দেয়া হবেনা। কোষ্টগার্ড এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করবে।
২২৷ ঈদের আগে ও পরের কয়েকদিন স্কাউট ও রোভার সদস্যগণ নিয়মিত ঘাটে যাত্রীদের সহযোগিতায় মোতায়েন থাকবে।
২৩৷ এ বছর আনসার সদস্যবৃন্দও লঞ্চঘাটে মোতায়েন থাকবে।
২৪৷ আজকের মধ্যে লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ের দুপাশের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।