চাঁদপুর সদরে পিতা-পুত্রের ওপর হামলা : ৯৯৯ ফোন দিয়ে রক্ষা

স্টাফ রির্পোটার : চাঁদপুর সদরের নিজ গাছ তলা এলাকায় পূর্বশত্রুতা নিয়ে পিতা ও পুত্রের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। জীবন বাঁচাতে তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ ফোন দিলে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পেলো তারা।

১৭ মে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিজ গাছতলা বাদামতলী গ্রামের মনিরের চায়ের দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীদের আঘাতে পিতা আব্দুল খালেক দর্জি (৬৫) ও তার পুত্র মোঃ আল-আমিন দর্জি (২৮) আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

আহত আলআমিন দর্জি জানায়,প্রায় চার মাস পূর্বে তার বড় ভাই সুমন দর্জির মাধ্যমে একই গ্রামের মনির গাজীর শ্যালক রাসেল মজুমদারকে বিদেশে নেয়া হয়। কিন্তু রাসেল মজুমদার বিদেশে গিয়ে ঠিক মতো কোন কাজ কর্ম না করাতে তার ভাই সুমন দর্জি তাকে নিয়ে অনেক বিপাকে পড়েন। তাকে যে কাজে দেওয়া হয়,সে কোন কাজেই তার ভালো লাগেনি বলে জানান। এভাবে তাকে একাধিক কাজ দিলেও রাসেল মজুমদার দুই মাস ধরেও ঠিকমতো কাজে কর্মে মন বসাতে পারেননি। তাই সে অসুস্থতার কথা বলে গত দুই মাস পূর্বে সুমন দর্জির সাথে স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দিয়ে দেশে চলে আসেন।

সে নিজের স্ব ইচ্ছায় বিদেশ থেকে দেশে চলে আসার পরেও এসব বিষয় নিয়ে আহত আব্দুল খালেক দর্জির পরিবারের সাথে বিভিন্ন সময়ে অনেক ঝগড়া, বাকবিতণ্ডা ও ঝামেলা করতে থাকেন রাসেল মজুমদারের ভগ্নিপতি একই গ্রামের মৃত ইছা গাজীর পুত্র মনির গাজীর পরিবারের লোকজন। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের উভয় পক্ষের লোকজন বৈঠকও করেছেন।
আহতরা অভিযোগ করেন, এসব বিষয়ের জের ধরে ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে মনির গাজী, মৃত নুরুল হক মালের ছেলে কবির মাল, নাজির মাল এবং কবির মালের ছেলে নাদিম মালসহ অজ্ঞাত আরো বেশ কজন মিলে সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের দোকানের সামনে আব্দুল খালেক দর্জি ও তার ছেলে আল-আমিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় হামলাকারীরা তাদের পিতা পুত্রকে শারীরিক নির্যাতন করে কিল, লাথি, ঘুষিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। তাদের হামলা থেকে জীবন বাঁচতে তারা ৯৯৯ কল দিলে তাৎক্ষণিক চাঁদপুর মডেল থানার এ এস আই নুরুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মনির গাজীসহ তাদের লোকজন ভুক্তভোগী পরিবারকে বিভিন্ন সাংবাদিকদের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদান করে আসছেন বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের নানা হুমকিতে তারা অনেক আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করছেন। এজন্য তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই নুরুল আমিন জানান, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি তারা উভয়পক্ষ প্রবাসীর একটা বিষয় নিয়ে মীমাংসায় বসেছেন। সেখানে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। পরে স্থানীয় মেম্বার স্থানীয়ভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করবে বলে জানিয়েছেন।’

ঘটনার বিষয়ে মনির গাজী মুঠোফোনে জানান, ‘তাদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক তারা থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে আমাদের কে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়টি মীমাংসার জন্য আগামী সোমবার থানায় একটি সালিশ বৈঠক হবে বলেও তিনি জানান।’

 

একই রকম খবর