স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেছেন, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে বড় বড় ঝাক দিয়ে মাছ ধরা ও সাথে বিষ প্রয়োগ করার অভিযোগ রয়েছে। যা আইনগতভাবে সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। নদীতে এই ধরণের ঝাক না দেয়ার বিষয়ে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০ সালের ৩ ক (২) এর বিধান রয়েছে।
সরকার এতোদিন এই বিষয়ে কিছু না বললেও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বর্তমানে সরকার এই আইনের উপর নজরদারি করেছেন এবং এই আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর সদর মডেল থানা ওসির কার্যালয়ে চাঁদপুর সদর এলাকার ঝাক মালিকদের নিয়ে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি উপস্থিত ঝাক মালিকদের উদ্দেশ্যে সময় দিয়ে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আপনাদের এই ঝাক নদীতে থাককে পারবে।
এরপরে নদীতে কোন ঝাক দেখাগেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপনাদের কোন ক্ষতি হউক সরকার কিংবা আমরা চাইবনা। আপনারা অনেকেই এই কাজের জন্য ঋন নিয়েছেন, আমরা সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলবো যাতে করে ওই সময়ে আপনাদের কাছ থেকে মুনাফা না নেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের জন্য মৎস্য বিভাগ বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছেন। নদী থেকে মাছ আহরনের জন্য মৎস্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে খাঁচা দিবে। আর এই খাঁচার জন্য আপনাদেরকে সরকারি শুল্ক দিতে হবে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হাছান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবেশনার) মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুর মডেল থানার (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হারুনুর রশিদ, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশিদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান। ঝাক মালিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজী গোলাম মোস্তফা, আবুল হোসেন, মো. কালু, মো. খোরশেদ আলম, মো. রুহুল আমিন প্রমূখ।