চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভীড়

ইব্রাহীম খান : চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ক্রমেই রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। আগের চেয়ে বর্তমানে প্রায় রোগীর পরিমান অনেক বেশি। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আবার বহিঃবিভাগে দুপুর ১ টার পর টিকেট দেওয়া বন্ধ থাকায় অনেক রোগী দ‚র থেকে এসে পড়তে হয় বিপাকে। গতকয়েক দিন হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগীকেই টিকেট না পেয়ে ফিরত যেতে দেখা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও মহিলা দেখা যায়।

বহিঃ বিভাগের রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে বহিঃবিভাগে ৮০০-১০০০ রোগী এবং জরুরী বিভাগে ১৫০ -২০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। তবে গত কিছুদিন আগে রোগীর পরিমান আরো বেশি ছিলো বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যাথা, চর্ম, অর্থবেডিক্স ও রোড এক্সিডেন্ট রোগীর পরিমানই বেশি।
এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সদর হাসপাতালে ৮১ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানাযায়। সবমিলিয়ে বর্তমানে এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১২০০ জনের বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে কর্তৃপক্ষকে রোগীর চাপ সামলাতে অনেকটাই পড়তে হয় বিপাকে।

জানা যায়, এ হাসপাতালটি প‚র্বে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ছিলো। সেই সময়ে হাসপাতালে যে জনবল ছিলো সেই জনবল দিয়েই বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অনেক সময় পড়তে হয় দালালদের খপ্পরে। ফলে সরকারি হাসপাতালে এসে অনেক অসহায় রোগীকে পড়তে হয় চরম বিপাকে।

জানা যায় হাসপাতালকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে আসে পাশে ব্যাংঙের ছাতার মতো অসংখ্য ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। ম‚লত এসব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কিছু লোক রয়েছে যারা সার্বক্ষণই হাসপাতালের আসেপাশে ঘুরা-ফেরা করে। এরাই রোগীদের নানান কথা বলে পরিক্ষা করার জন্য নিয়ে যায় এবং এ সুযোগে রোগীদের কাছ থেকে তারা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

তবে হাসপাতালের পরিছন্নতা ও টয়লেট ব্যবস্থা নিয়ে রোগীদের রয়েছে চরম ক্ষোভ। তাদের অভিমত হাসপাতালের পরিছন্নতা ও টয়লেট ব্যবস্থা মোটেও ভালো না। এজন্য তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করেন। তবে এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রয়েছে ভিন্ন মত। তারা জানান, হাসপাতালের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনবল সমস্যা। এ ব্যাপারে হাসপাতালের আরএমও ডা. হাসিবুল হাসান জানান, হাসপাতালে এমনিতেই জনবল সংকট তারপর আবার রোগীর বাড়তি চাপ। ফলে হাসপাতালে যারা দায়িত্বে রয়েছে তাদের রিতিমত হিমশিম খেতে হয়। ম‚লত জনবল সংকট কেটে গেলেই হাসপাতালের অনেক সমস্যা কেটে যাবে।

একই রকম খবর