স্টাফ রিপোর্টার : ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে গত কয়েকদিন আবহাওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কারণে নিউমোনিয়া,লোটা ভাইরাস, ভ্রোর্ন কাটিজ ও শ^াস প্রশ^াস কষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ থেকে ৩ বছরের শিশুরা আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
এ হাসপাতালে গত ৩ দিনে ২ শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। নির্ধারিত বেড শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে হাসপাতালের নিচে মেঝেতে শিশুদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচেছ।
গত ১৭ এপ্রিল রাত ১২টার পর থেকে ১৮ এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ১০৮ শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সেবিকারা নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, শিশু ওয়ার্ডে নির্ধারিত বেড রয়েছে ৩০টি। স্পেশাল বেড রয়েছে ৬টি। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে ১০৮জন। এর মধ্যে রাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হয়েছে ৫৫জন এবং সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৫৩জন শিশু।
গত কয়েকদিন একই অবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০জন শিশু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে আবার কিছুটা সুস্থ্য হলে বাড়ীতে ফিরে যাচ্ছেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¦াবধায়ক মো:আনোয়ারুল আজিম জানান, বর্তমান আবহাওয়া দিনে গরম রাতে ঠান্ডা। এরকম আবহাওয়ার কারণে এ ধরনের রোগ বেশী দেখা দেয়। কয়েকদিন প্রচন্ড গরমের কারণে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আবার গভীর রাতে ঠান্ডা লাগে।
এতে শিশুদের ফুস্পুসে সমস্যা হয়। তিনি বলেন ১৭ এপ্রিল রাত ১২টার পর থেকে ১৮ এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ৩৮৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ১০৮ জন শিশু ও অন্য সব পুরুষ-মহিলা ও গাইনি বিভাগে ভর্তি রোগী। নিউমোনিয়া ও ভ্রোর্ন কাটিজ জনিত শিশু রোগী বেশী।
তিনি আরো বলেন, এসব রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পিতা-মাতাকে সচেতন হতে হবে। শিশুদের শরীর গামালে তা মুছে দিতে হবে। তাদেরকে পাতলা পোষাক পরিধান করাতে হবে। সচেতন হলে এ রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
