চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সঠিক সেবা পাচ্ছে না রোগীরা!

স্টাফ রির্পোটারঃ চাঁদপুর জেলা শহরে অবস্থিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল।এটিই চাঁদপুর জেলার মূল চিকিৎসা কেন্দ্র।

চাঁদপুরের ৮ উপজেলা ছাড়াও শরিয়তপুর ও নোয়াখালী জেলা থেকেও রোগীরা আসে এখানে চিকিৎসা নিতে।সব মিলিয়ে এই হাসপাতালে সব সময়ই রোগীর একটি বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যায়।প্রায় প্রতিদিনই উন্নত চিকিৎসার তাগিদে এখানে আসা রোগীদের অনেকেই পাড়ি দিতে হয় ঢাকা ও কুমিল্লাতে।জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য এই হাসপাতালে সরকারি ভাবে  দুটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও প্রকৃত অর্থে রোগীরা এখান থেকে কি পরিমান সেবা পাচ্ছে এ নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতালের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স দুটি প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের ন্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে। সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া  নিচ্ছে দ্বিগুন । কারন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিতে হলে প্রতি কিলোমিটার ২০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে।কিন্তু এখানে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের ন্যায় চালকের নির্ধারিত টাকাই যেতে হচ্ছে রোগীদের।

কিন্তু এ বিষয়ে রয়েছে হাসপাতাল কতৃপক্ষের পাল্টা বক্তব্যে।তাদের অভিমত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি পূর্বে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে থাকা কালীন সময়ে যে জনবল ছিলো।বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি চলছে সেই জনবল দিয়ে।ফলে দেখা যাচ্ছে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য যে ২ জন এ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলো সেই ২ জন চালককে দিয়েই এখন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের রোগীদের আনা নেওয়া করতে হচ্ছে।ফলে কোন কোন সময় চালককে  প্রায় ২৪ ঘন্টা ডিওটি করতে বাধ্য করা হচ্ছে।হাসপতাল কতৃপক্ষ আরো জানান এখানে সরকারি নিয়ন মেনেই টাকা নেওয়া হচ্ছে।

তবে এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়াটি সম্পূর্নই আদায় হয় চালকের মাধ্যমে। ফলে দেখা যাচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষের চোখ পাখি দিয়ে হলেও চালকের একটি আলাদা হিসেব এখানে থেকেই যায়।যারফলে অসহায় রোগীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে।এমনকি সব সময় সরকারি এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া একটি  বড় কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে এখন।ফলে এই সূযোগে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স গুলো তাদের ইচ্ছে মতো রোগীদের কাছ থেকে ভাড়া নিচ্ছে।

এব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) আসিবুল আহসান চৌধুরী বলেন,আমাদের হাসপাতালের চাহিদার তুলনায় এ্যাম্বুলেন্স অনেক কম।চালকও ২ জন।ফলে অনেক সময় রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমরা চালককে  প্রায় ২৪ ঘন্টা ডিওটিতে বাধ্য করতে হচ্ছে।এখানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নেওয়া হয়।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক ডা.সালেহ  আহমেদ বলেন,আমাদের এখানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নেওয়া হয়।এখানে বাড়তি কোন টাকা নেওয়া হয়নি।

 

একই রকম খবর

Leave a Comment