চান্দ্রায় আলীগ নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে নদীতে নিক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম হাওলাদার(৩৫)কে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মেঘনা নদীতে নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।

গুরুতর জখম অবস্থায় আহত সেলিম হাওলাদার ৫ দিন যাবৎ ঢাকা ধানমন্ডি পান্থপথ গ্রীন লাইন একটি প্রাইভেট হাসপাতাল মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩ নং হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট মেঘনা নদীর পাড় থেকে ১২ জুন রাত ১১টায় জখম অবস্থায় সেলিম হাওলাদারকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর খান সহ কয়েকজন লোক উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা অবনতি রেখে ঢাকায় রেফার করেন।

আহতের পরিবার জানায়, ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মৃত হানিফ হাওলাদারের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ সেলিম হাওলাদার জব্বর ডালি দোকানের সামনে আসলে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ মজুমদার তাকে একা পেয়ে ধরে মারধর করতে থাকে।

পরে সন্ত্রাসী সোহাগ মজুমদারের সহযোগী দেলু মজুমদার, জাহাঙ্গীর মজুমদার সহ কয়েকজন ফিল্মি স্টাইলে সিএনজি স্কুটারের তুলে নিয়ে হরিণা ফেরিঘাট নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। পরে সেলিম অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে মৃত ভেবে হরিণা জামে মসজিদের পিছনের মেঘনা নদীর পাড়ে নিক্ষেপ করে চলে আসে।

হানারচর ইউনিয়ন এর ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন খান মেঘনা নদীর পাড়ে আহত সেলিম হাওলাদারকে দেখতে পেয়ে চান্দ্রা ইউনিয়নের মেম্বার জাহাঙ্গীর খান কে জানায়।তাৎক্ষণিক জাহাঙ্গীর খান লোকজন নিয়ে নদী থেকে আহত সেলিম হাওলাদার কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তাকে ঢাকায় এম্বুলেন্স যোগে নিয়ে যায়।

বর্তমানে গুরুতর আহত নেতা সেলিম হাওলাদার হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনায় আট জনকে আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা। এই ঘটনায় প্রধান আসামি সোহাগ মজুমদার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

একই রকম খবর