চান্দ্রায় খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি চাল দোকানে মজুত রেখে বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের সীলমোহর যুক্ত সরকারি চাল চোরাই ভাবে এনে দোকানে মজুদ রেখে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড হরিপুর বাজারে শাহ আলম পাটোয়ারী দোকানে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের চাল বিক্রির সময় স্থানীয়রা বাঁধা দেয়।

চাল বিক্রি ও দোকানে মজুদ রাখার ঘটনার এলাকাবাসীর সাথে দফায় দফায় বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার টেলু পাটোয়ারী খাদ্য অধিদপ্তররে একশ বস্তা চাল চোরাই ভাবে এনে চান্দ্রা ইউনিয়নের হরিপুর বাজারে শাহ আলম পাটোয়ারী দোকানে মজুদ রাখে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর চান্দ্রা ইউনিয়নের সীমানা পাশাপাশি হওয়ায় গোবিন্দপুর ইউনিয়নের টেলু মেম্বার সরকারি টি আর,কাবিখা ও হতদরিদ্রদের চাল চোরাই ভাবে এনে হরিপুর বাজারে দোকানে মজুদ রাখে।

সরকারি চাল বিক্রির ঘটনা এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হেেয়ছ। অনেকে ধারণা করেছেন চান্দ্রা চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা চাল বিক্রি করেছে।
কিন্তু ফরিদগঞ্জের মেম্বার টেলু চাঁদপুর সদরে এনে এই সরকারি চাল বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

হরিপুর বাজারের দোকানদার শাহ আলম পাটোয়ারী জানায়, টেলু মেম্বার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে সে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের চাল দোকানে এনে রেখেছে। এখানে চাল রেখে মানুষদের দিয়ে থাকে। এই চালের বিষয়ে তিনি ভাল বলতে পারবেন।

গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইউপি টেলু মেম্বার জানায়,একটি রাস্তার কাজের জন্য চাল বরাদ্দ দেওয়া হেেয়ছ সেই চালি তারা হরিপুর বাজারে আত্মীয় দোকানে রাখা হেেয়ছ। রাস্তার কাজে যে সকল শ্রমিকরা কাজ করছে তারা সেই চাল নিচ্ছে আবার কেউ চালের বিপরীতে টাকা নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হান্নান জানায়, টেলু মেম্বার কোথা থেকে এই চাল এনে দোকানে রেখেছে তা আমার জানা নেই, এই বিষয়ে তিনি ভাল বলতে পারবেন। তাকে কোনো কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা মুঠোফোনে জানায়, সরকারি চাল মজুদ রাখার ঘটনাটি ফরিদগঞ্জের নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চান্দা ও গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।

একই রকম খবর