স্বপন কর্মকার মিঠুন, শাহরাস্তি : শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ডাক্তারের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তার স্বজনদের।
ঘটনাটি গত সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি অবস্থায় ঘটে। মঙ্গলবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম ও স্থানীয় গনমাধ্যামে বিষয়টি চাউর হতে থাকে । বুধবার সকালে গনমাধ্যাম কর্মীদের নিকট নিহতের স্বজনরা অবহেলার অভিযোগ এনে ঘটনা প্রকাশ করেন ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ওই রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার নিজ মেহার পশ্চিম মৃধা বাড়ির মৃত আবদুর রশিদের পুত্র দিদার মৃধা (৩৮) বুকের ব্যাথা অনুভব করলে তার পরিবার সদস্যরা তাকে দ্রæত হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরী বিভাগে নেয়ার পর কোন ডাক্তার না থাকায় তার চিকিৎসা ব্যহত হয়। এক পর্যায়ে কমর্রত ডাক্তার আতিকুর রহমান এসে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে ভর্তি করে তিনি চলে যান। হাসপাতালে ইসিজি মেশিন থাকা সর্ত্বেও লোকের অভাবে ইসিজি করাতে পারেনি। রোগীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে পরিবারের সদস্যরা ডাক্তারের সাথে আলাপ করলে তিনি রোগী ভালো আছে বলে জানান। এ অবস্থায় রাত সাড়ে ১০ টায় রোগীর মৃত্যু ঘটে।
এব্যাপারে মৃত দিদারের ভাই শাহজাহান মৃধা বলেন, আমরা আশংকাজনক অবস্থায় দিদারকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আসার পর জরুরী বিভাগে কোন ডাক্তার ছিলোনা। প্রায় ৪৫ মিনিট পর একজন ডাক্তার আসেন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ভর্তি করে চলে যান। এমন অবহেলার কারণে অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জরুরী বিভাগে কখনো এমবিবিএস ডাক্তারকে চেয়ারে পাওয়া যায় না । রোগীর অবস্থা ভেদে ডাক্তারকে ফোন দিয়ে আনতে হয় । এ ভাবে একটি সরকারী হাসপাতাল চলতে পারেনা । তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুষ্টু বিচারের দাবি করেন তিনি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক আতিকুর রহমান বলেন, অভিভাবকের অনুরোধে তাকে ভর্তি দিয়ে রোগীর যথাযথ চিকিৎসা দিয়েছি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরই হাসপাতালে মৃত দিদারের স্বজন ও আশ-পাশের লোকজন হাসপাতালে ভিড় জমায়। উপস্থিত জনতা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন নেয় । এসময় উপস্থিত ছিলেন, ওসি তদন্ত মো. শহিদুল ইসলাম, উপ-পরিদশক মোঃ মিজানুর রহমান, কুতুবউদ্দিন, সহকারি উপ-পরিদশক আবু হানিফসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মানিক লাল মজুমদার জানান, চিকিৎসার কোন ত্রæটি হয়নি। সে দ্বিতীয় ষ্ট্রোকে মৃত্যু বরণ করেন।