মনিরুজ্জামান বাবলু : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রবাসীর মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে মায়ের অভিযোগে আদালতে নির্দেশে দাফনের ৬৯ দিন পর কবর থেকে মো: সোহেল নামে ওমান প্রবাসী এক যুবকের লাশ উত্তোলণ করা হয়েছে।
২৪ জুলাই বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি), ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিনের উপস্থিতিতে ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন চরবসন্ত গ্রাম থেকে সোহেলের লাশ উত্তোলণ করা হয়।
উত্তোলনের পর ফুলপ্যান্ট পরিহিত অবস্থায় লাশটি দেখা গেছে। সোহেলেকে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বাচ্চু ও তার শ্যালক ফয়সাল নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, পুরো ঘটনাটি আড়াল করার লক্ষ্যে লাশের মৃতদেহ গোসল ও জানাজা না দিয়েই তড়িঘড়ি করে লাশটি দাফন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে গত ১ জুলাই চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে সোহেলের মা পিয়ারা বেগম সোহেলের লাশ উত্তোলন পূর্বক ময়নাতদন্ত ও মৃত্যুও সঠিক কারণ উদঘাটন করে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন।
আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: হাসান জামান ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শককে বাদীনীর আবেদন এজাহার (এফআইআর) হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে সাত কার্য-দিবসের মধ্যে প্রতিবিদন দায়েরের আদেশ দেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ মামলা হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে।
বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিনের উপস্থিতিতে চরবসন্ত গ্রাম থেকে এ লাশ উত্তোলণ করার পর ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের (৬৫), আবুল হোসেন(৮৫) আ: মতিন (৭৫), নান্নু মিয়া (৪৬) আরো জানান, গত কয়েকমাস পূর্বে সোহেলের বাবা মো: আব্বাছ ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনার মারা যান। সেই মৃত্যুটিও একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হতে পারে বলে ধারণা করছেন।
সোহেলের স্বজনরা জানায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন চরবসন্ত গ্রামের মৃত আব্বাছ হাজীর ছেলে মো: সোহেল তার চাচা মো: বাচ্চুর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছর পূর্বে মধ্য প্রাচ্যের দেশ ওমানে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তার চাচা ও চাচার শ্যালকসহ একত্রে একই কোম্পানীতে কাজ করার সুবাদে একই রুমে বসবাস করত। সেখানেই চাচার শ্যালক ফয়সালের সাথে সোহেলের বিরোধ সৃস্টি হয়। ঐ বিরোধের জের ধরে গত ৬ মে বাচ্চু ও ফয়সাল একত্রে মিলে সোহেলকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। কিন্তু ঘটনাটি তারা ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে সোহেলের মারাত্বক ব্যাধি হয়েছে বলে সোহেলের বড় চাচা শাহাজাহানকে ফোনে জানায় তারা।