চাঁদপুর জেলা পরিষদে জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেছেন, বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতেই দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। কারণ, তারা জানতো বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বহু আগে উন্নয়ন-উন্নতিতে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যেত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘদিন স্বাধীনতার পরাজিত শত্রæরা এই দেশের ক্ষমতা দখল করেছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। ইনশাল্লাহ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।

বুধবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চাঁদপুর জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মান্নান। প্রধান আলোচক ছিলেন রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ মাস্টার, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রব ভ‚ঁইয়া, চাঁদপুরস্থ এনএসআই’র উপ-পরিচালক এবিএম ফারুক, বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন।

জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রহিম বাদশা, জেলা পরিষদের সদস্য যথাক্রমে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী, মো. মুকবুল হোসেন, জোবায়ের হোসেন, মশিউর রহমান মিটু, খোদেজা রহমান, জোবেদা মজুমদার খুশি, জান্নাতুল ফেরদৌস, চাঁদপুর জেলা বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য জান্নাতুল বাকী বিল্লাহ উপম পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান খোকা, জেলা যুবলীগের সদস্য জিয়াউল আমিন দীপু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসিব পাটওয়ারী, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান পরান প্রমুখ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরচিত গান পরিবেশন করেন যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন নান্নু।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সুজিত রায় নন্দী বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। আর সে জন্য নিজেদের মধ্যকার সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। নইলে দেশ আবার পিছিয়ে যাবে।

আলোচনা সভার পর মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন পুলিশ লাইন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুস সালাম। সবশেষে গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে চাঁদপুরের অঙ্গীকার পাদদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, শোক র‌্যালিতে অংশগ্রহণ ও সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। এছাড়া চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরির জন্য বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই উপহার দেয়া হয়। এছাড়া জেলা পরিষদের মাসব্যাপী শোকের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে : জেলার ৫ শতাধিক সরকারি-বেসরকারি অফিস ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা বিতরণ, কালো ব্যাজ ধারণ, শোক ব্যানার স্থাপন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মতো গতকাল চাঁদপুরের সকল দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়।

একই রকম খবর

Leave a Comment