ইব্রাহীম খান : চাঁদপুরের আলোচিত হত্যাকা- ফরিদগঞ্জ গল্লাক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহীন সুলতানা ফেন্সীর হত্যার ২৩ দিন পর প্রেস ব্রিফিং করেছেন চাঁদপুর জেলা পুলিশ।
এ সময় চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সীর হত্যার সাথে এড. জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সম্পৃক্ততা রয়েছে কি-না তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে কোন নাম প্রকাশ না করে এ হত্যাকাণ্ডে একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
এ সময় তিনি তদন্তের স্বার্থে আর কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে উপস্থিত সাংবাদিকদের বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার জানান, এড. জহিরুল ইসলামকে পুলিশ কোন ভয়ভীতি দেখায়নি, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, ডিবি ওসি নূর হোসেন মামুন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির, সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া জীবন, শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, বি এম হান্নান, শরীফ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, জি.এম শাহীন ও চাঁদপুর সংবাদের সম্পাদক অধ্যাপক আঃ রহমানসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সীকে ষোলঘর পাকা মসজিদ সংলগ্ন নিজ বাসায় প্রায় ২৩ দিন পূর্বে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে এ হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িত রাকিবুল হাসান নামে এক মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানা যায়। রাকিব এড. জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের চাচাতো ভাই।