স্টাফ রিপোটার : দেশের উত্তরের বন্যার পানি চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা দিয়ে দক্ষিণের সাগরে নামছে। এতে পানির উচ্চতা বাড়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা ও চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। কোথাও কোথাও বাঁধের আশপাশের নদীতীর সংরক্ষণে ফাটল ধরেছে। দেবে গেছে সিসি ব্লক। ফলে আতঙ্কিত নদীপাড়ের মানুষ। এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোড বলছে, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।
বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে এসব এলাকা রক্ষায় প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা এখন হুমকির মুখে। ইতোমধ্যে এই বাঁধের চাঁদপুর হরিসভা এবং হাইমচরের আমতলী এলাকার আশপাশের বেশকিছু সিসি ব্লক রাতারাতি তোড়ে ভেসে গেছে।
এলাকাবাসী জানান, ‘অনেক জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কের মধ্যে আছে। আমাদের যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।’
অতীতের মতো নদীপাড়ের জনপদ রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আহবান জানিয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি। অন্যদিকে, নদীতীর সংরক্ষণ এবং বাঁধ রক্ষায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
চাঁদপুর হাইমচর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.কবির শেখ বলেন, ‘এখন যদি নদীর ভাঙ্গন বন্ধ করা না হয় তাহলে তিন মাস পর বর্ষাকাল তখন হাইমরচরের সম্পূর্ণ বাঁধটাই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওব) মো. আবু রায়হান বলেন, ‘যেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। যখনই কোনো সমস্যা হবে আমরা ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড কাজ শুরু করে দিবো।’
চাঁদপুর শহরের বড় ষ্টেশন থেকে দক্ষিণের হাইমচর পর্যন্ত নদীপাড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা রয়েছে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ।