শাহমাহমুদপুরস্থ ডাকাতিয়া নদীতে মেয়েদের গায়ে ঢিল, ট্রলারে হামলায় আহত ৪৩

স্টাফ রিপোর্টার : নৌপথে ঈদের আনন্দভ্রমণ শেষে চাঁদপুরের ‘মিনি কক্সবাজার’ থেকে ট্রলারে হাজীগঞ্জে ফেরার সময় সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ভাটেরগাঁও ডাকাতিয়া নদী এলাকায় মেয়েদের গায়ে ঢিল দেওয়ার অপরাধে প্রতিশোধম‚লক হামলায় অন্তত ৪৩ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের নাম জানা না গেলেও তাদের সবার বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল এলাকায়। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানা যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (৭ জুন) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ভাটেরগাঁও ডাকাতিয়া নদীর মধ্য এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৭০ থেকে ৮০ জন তরুণ বিকালে নৌপথে ঈদের আনন্দভ্রমণ শেষে চাঁদপুরের ‘মিনি কক্সবাজার’ থেকে ট্রলারে হাজীগঞ্জে ফেরার সময় সদর উপজেলার হামনকর্দী এলাকায় নদী পাড়ে থাকা মেয়েদের গায়ে নৌকা থেকে তরুণরা বেশ কয়েকটি ঢিল ছুঁড়ে।

এ সময় ওই এলাকায় লোকজন সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ট্রলারে করে তরুণদের তাড়া করে ভাটেরগাঁও এলাকায় গিয়ে ঘেরাও করে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এতে ৪৩ জন আহত হন।

ট্রলারে থাকা যুবকরা জানান, তারা মেঘনার পশ্চিম পাড়ে চরে বেড়াতে গিয়েছিলো। সন্ধ্যায় আনুমানিক ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে আসলে প্রায় ১২ থেকে ১৩জন যুবক তাদের উপরে হামলা চালায়। তখন তারা আত্মরক্ষার্থে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় কয়েকজন শিশুও তাদের সাথে নদীতে ঝাঁপ দেয়।

ভাটেরগাঁও এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে এ নিয়ে মানুষের মাঝে আলোচনা হচ্ছে। সকালে হাজীগঞ্জের যুবকরা চাঁদপুরে যাওয়ার সময় নদীর পাড়ে এক যুবতিকে ট্রলার থেকে ঢিল মারে। এরপর ভাটেরগাঁও-শাহতলী এলাকার কিছু যুবকের সাথে এ নিয়ে বাক বিতন্ডা হয়। হাজীগঞ্জের যুবকরা ট্রলার নিয়ে সন্ধ্যা ফেরার পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ভাটেরগাঁও-শাহতলীর যুবকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। কেউ কেউ নদীতে লাফিয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হাজীগঞ্জ এলাকার মাইনুদ্দিন জানান, মেয়েদের গায়ে ঢিল ছোড়ার বিষয়টি সঠিক না। ওই এলাকায় এর আগেও এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল শাহমাহমুদপুরের ভাটেরগাঁও যাই। হাজীগঞ্জের ট্রলারে থাকা যুবকদের তথ্য মতে তারা ৮৫জন ছিলেন। এর মধ্যে ৪৬জনের খোঁজ পেয়েছি। ৪জন চাঁদপুরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। কেউ কেউ আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে চলে গেছে। যারা সুস্থ রয়েছেন তারা বলছেন, রাতে হাজীগঞ্জে গিয়ে তারা তালিকা দেখে বলতে পারবেন কেউ নিখোঁজ আছেন কিনা।

একই রকম খবর