দলের দুঃসময়ে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা আবশ্যক

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন তথা মহামায়া এলাকার ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু দলের কাছে নিবেদন করে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন। যে সংগঠনের ডাকে স্বাধীনতা পেয়েছে পূর্ব বাংলা তথা বাঙ্গালী জাতি।

বহু স্বপ্ন নিয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠি বাঙ্গালী জাতিকে শোষনমুক্ত করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন আওয়ামীলীগ সংগঠন। কিন্তু যে সংগঠনের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, সে সংগঠক পরিবার কে স্বাধীনতার স্বাদ দেয়নি বাংলার কালো ছায়া। স্বাধীন বাংলার ইতিহাস আস্তে আস্তে বিকৃত করতে লাগল অপ সংগঠনের কাছে।

যার প্রমান ১৯৭৫ সাল। বাংলার সোনালী পরিবারকে ধূলিস্যাতের মধ্য দিয়ে। দেশ আবারো পিছাতে লাগল। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সংগঠন মাথা তুলতে পারছিল না। যার ফলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৯০ দশকের পরে কোনঠাসা হয়ে পড়ে। অপ-শক্তির ভয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মাথা দাঁড় করাতে পূর্ন সাহস পায়নি সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

রাজ পথে আন্দোলন সংগ্রাম করার মত কর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে বের করে আনতে হত। তিনি জানান ,দলের জন্য সবসময়ই কাজ করেছেন। ৯০ দশক ও তার পরে মহামায়া এলাকায় আওয়ামীলীগ সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কর্মীর অভাবে সংগঠন বিলিন হয়ে যাচ্ছে দেখে তিনি নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বহু শ্রম ও ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে সংগঠন দাঁড় করাতে কাজ করেছেন।

মনের দুঃখ চেপে রেখে দেলোয়ার হোসেন দেলু জানান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সংগঠন পরপর তিন দফায় সরকার পরিচালনা করছে। দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। এখন নতুন নতুন নেতা নেতৃত্ব আসছে। পদ পদবী নিয়ে রাজনীতি করছে। কিন্তু বহু ত্যাগী কর্মীরা মূল্যায়ন বঞ্চিত রয়েছে। তিনি নিজে বা কারো জন্য দল থেকে কখনো কোন পদ পদবী চান নি।

যারা দলকে ভালোবেসে দলের দুঃসময়ে টাকা পয়সা শ্রম ও মূল্যবান সময় ব্যয় করে বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে কর্মী বের করে সংগঠন করে দলকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করেছেন তারা আজ সংগঠনের কর্মকান্ড থেকে বহু দুরে। তাদের কথা কেউ স্মরন করেনি। করেনি কেউ তাদের সম্মান। ডাকেনি কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে। অবহেলিত সেই ত্যাগী কর্মীরা আজ মনের কষ্ঠে কাতর। দলের সু-সময়ে দলের কর্মকান্ড থেকে বাহিরে। তারা আজ কোন পদ পদবী চায়নি, চায়নি কোন কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা।

সে সব অবহেলিত কর্মীরা এখন চায় দলের ভালোবাসা, সম্মান ও দলের মূল্যায়ন। যেন এতটুকুই তাদের প্রত্যাশা। তিনি মনে করেন ত্যাগীদের সম্মান ও মূল্যায়ন করলে দল আরো বেশি উপকৃত হবে। তাই তিনি এমন নীতিবান ও গ্রহন যোগ্য নেতা নির্বাচন করতে নীতি নির্ধারকদের কাছে বিনীত আহবান জানান, যাতে দলের দুঃসময়ের ত্যাগীদের একটু ভালোবাসা, সম্মান ও মূল্যায়ন পায়।

একই রকম খবর