নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা দিলে তিন বছর জেল চায় ইসি

চাঁদপুর খবর রির্পোট: আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে যে কোনো নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা দিলে সর্বোচ্চ তিন বছর ও সর্বনিম্ন এক বছর জেল ও জরিমানার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

১১সেপ্টেম্বর (রবিবার) নির্বাচন কমিশন ভবনে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবে নতুন এই ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।

আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আরপিও-তে নতুন ৮৪ সি ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া আরপিও সংশোধনীতে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

কমিশন কিছু কিছু আইন পরিবর্তনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে উল্লেখ করে আহসান হাবিব খান বলেন, যেহেতু আপনারা আমাদের চোখ-কান। আমাদের বদলে আপনারা ভোটকেন্দ্রে হাজির থেকে আপনারা সংবাদগুলো সঠিকভাবে সংগ্রহ করবেন। আপনাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা আইনে একটি নতুন সংযোজন করেছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে যদি কেউ বাধা দেয়, আপনাদের যদি কেউ হেনস্থা করে এবং আপনাদের ইকুপমেন্ট ও সঙ্গীদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে সর্বনিম্ন এক বছর এবং সর্বোচ্চ তিন বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া জরিমানাও রাখা হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর ইচ্ছে আছেও জানান আহসান হাবিব। বলেন, বাজেট সংক্রান্ত জটলিতা থাকলেও অন্তুত ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হতে পারে।

এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে জানিয়ে আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সব দলের আস্থা অর্জনে কাজ করার চেষ্টা করছি। এ সময় নিজেদের কাজের ব্যপারে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশন।

 

একই রকম খবর