ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ’লীগের কাউন্সিলে সভাপতি পদে নুরুল আমিন রুহুল এগিয়ে

বোরহান উদ্দিন ডালিমঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বর।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এদিকে এ সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই তেমনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে শুরু হয়েছে জোর লবিং-তদবির।

পদপ্রত্যাশীরা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের কাছে রাজপথে তাদের আন্দোলন-সংগ্রামের ফিরিস্তি সহ বিগত দিনের নিজ নিজ কর্মকান্ড- তুলে ধরছেন। তবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটিতে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন সৎ, ত্যাগী, কর্মীবান্ধব ও দক্ষ নেতাদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

জানা গেছে, সভাপতি পদ পেতে আগ্রহী একাধিক নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ পদে যাদের নাম বেশি আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে এগিয়ে আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাড. মো. নুরুল আমিন রুহুল এমপি। ঢাকা মহানগর রাজনীতিতে দীর্ঘদিন থেকেই একজন সৎ, পরিশ্রমী, কর্মীবান্ধব ও ত্যাগী নেতা হিসেবে খুবই জনপ্রিয় তিনি।শেখ হাসিনা সৎ, পরিশ্রমী, কর্মীবান্ধব ও ত্যাগী নেতা নির্বাচনে খোঁজ খবর নিচ্ছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে।তিনি নিজে ও তার দলীয় বিভিন্ন সুত্রের মাধ্যমে অনেকের বিষয়ে অবগত রয়েছেন। সৎ, পরিশ্রমী, কর্মীবান্ধব ও ত্যাগী নেতা হিসেবে গত সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ মুহূর্তে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল কে।

মোঃ নুরুল আমিন রুহুল দীর্ঘদিন মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পদে আছেন এর আগে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (আলম-অসীম কমিটি)কেন্দ্রীয় সংসদের প্রচার সম্পাদক ও অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (৮৩-৮৭ সাল) সভাপতি (রুহুল-মুরাদ কমিটি)ছিলেন নুরুল আমিন রুহুল। তাছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির (৭৮-৮৩) দায়িত্ব পালন করেন।আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতারকালীন ১/১১ সময় তথাকথিত কুশীলব ও ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া শেখ হাসিনাকে মুক্তির আন্দোলনে অংশ গ্রহণ ও বিশেষ আদালতে একজন আইনজীবী হিসেবে নেত্রীর মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেন নুরুল আমিন রুহুল।

১৯৮৫ সনে এরশাদ সরকারের ক্ষমতার সময় অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাবস্থায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন।ন্যাশনাল ডেমোক্রেসি ফর ইন্টারন্যাশনাল লিডারশীপ কর্তৃক রাজনৈতিক লিডারশীপ ট্রেনিং গ্রহণ করেন নুরুল আমিন রুহুল।

১৯৮৭ সালে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি বার কাউন্সিল সনদ গ্রহণ করে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।

পরিচ্ছন্ন রাজনীতির মাঠে সফলতার ছাপ রেখে চলেছেন অ্যাড. মো. নুরুল আমিন রুহুল। এ কারণে তিনি সভাপতি পদের জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে এগিয়ে রয়েছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন বিষয়ে নুরুল আমিন রুহুল জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসাবে সারাজীবন কাজ করে যেতে চাই।

তিনি বলেন, নেত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের জন্য সব সময় রাজপথে থেকেছি, আগামীতেও থাকবো। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এভাবেই কাজ করে যাবো।তবে পদের ব্যাপারে তিনি বলেন,নেত্রী আমাকে যখন যেখানে উপযুক্ত মনে করবেন সেখানেই দায়িত্ব দিবেন। তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চায়, আমি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসি। নেত্রী যদি আমার উপর আস্থা রাখেন এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের দায়িত্ব দেন,আমি সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে সে মর্যাদা রাখবো ইনশাআল্লাহ।

একই রকম খবর