স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে সার্বজনীন দূর্গা মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর করার ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে আটক পাঁচ আসামিকে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
সার্বজনীন দূর্গা মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর করার ঘটনায় গৌতম দাস বাদী হয়ে মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে ৯টায় দাস পাড়ায় সার্বজনীন দূর্গা মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরের অবকাঠামো ভেঙ্গে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরই পুলিশ মুন্নাফ দিদারের ছেলে ফরিদুল ইসলাম দিদার (৫০), ইদ্রিস দিদার, রাজু দিদার, আবুল ডাক্তারের ছেলে আতিক ও আব্দুল আলিমকে আটক করে।
পুলিশের হাতে আটক আসামি আবুল ডাক্তারের ছেলে আতিক মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার।
খবর পেয়ে চাঁদপুর ৩ আসনের এমপি শিক্ষা মন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি,জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাতে দূর্গা মন্দিরে হামলা চালায় বাসেত চৌধুরী, আবদুল কাদের মিজি ও খোরশেদ আলমসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র। রাতে তারা পরিকল্পিতভাবে দূর্গা মন্দিরের অবকাঠামো ভাংচুর করে অন্যত্র ফেলে দেয়ে এবং প্রতিমা ভাঙচুর করে। এছাড়া পাশবর্তী কালি মন্দিরের একটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়।
এঘটনার খবরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবির বিপিএম পিপিএম উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ঘটনাটি জানারপর তাৎক্ষনিক আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। ভাঙচুর করা ও কিছু কিছু মালপত্র বিভিন্ন বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি তারাই এরসাথে জড়িত। এখন পর্যন্ত ৪জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদেরও আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।