স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস।
হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমান-খ্রিস্টান কোনো ধর্মের সাথেই ধর্মের বিরোধ নেই। সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে আমরা বসবাস করছি, সাম্প্রদায়িকতার চিহ্ন নেই। অসাম্প্রায়িক চেতনা হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য।
সেই সংস্কৃতির ধারাকে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে ধর্মের বিরোধ করেছিল পাকিস্তান নামক সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এই সাম্প্রদায়িকতাকে বাংলার মাটিতে কবর দিয়েছি।
অর্থাৎ সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে যার যার ধর্ম-কর্ম পালন করবে। ধর্ম যার যার উৎসব হবে সবার সেই চেতনা নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়েও যাবে।
তিনি ৯ মে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পশ্চিম শ্রীরামদী দাসবাড়ীতে শ্রী শ্রী শীতলা মায়ের মন্দির নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন। সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর চেম্বারের সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পৌর প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেম্বার পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা। ঘোষপাড়া দুর্গা পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল কান্তি দত্ত নন্দুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত কেদার নাথ চক্রবর্তী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বিল্লাল ছৈয়াল, পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আরশাদ ঢালী হিমেল, দাসবাড়ির মুরব্বী শান্তি গোপাল দাস, গণেশ দাস, উত্তম সাহা, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঃ খালেক হাওলাদার, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ দাসবাড়ির অন্যান্য লোকজন এবং এলাকাবাসী। আলোচনা শেষে পৌর মেয়র ভিত্তি ফলক উন্মোচন করে মন্দির নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা করেন।
পৌর মেয়র তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন কাজে পৌরসভার সহযোগিতা রয়েছে। শহরবাসীকে মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত রাখার লক্ষ্যেও কাজ করছি। আল্লাহর রহমতে আজকে চাঁদপুর শান্তির শহরে রূপ নিয়েছে। যেখানে সমস্যা দেখা যায় দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে পৌরসভা ভূমিকা রাখছে।
আগামীতেও সবাই মিলে এই শান্তির ধারা বজায় রাখব। কোনো অবস্থাতে সন্ত্রাস ও মাদককে আমরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিব না। মানুষকে আমরা শান্তি ও নিরাপত্তা দিব , এটা ছিল আমার ওয়াদা। আমরা ক্ষমতায় এসে মানুষ অশান্তি ভোগ করবে তা কাম্য হতে পারে না। ইনশাল্লাহ আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেব, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। তিনি দাসবাড়ির এই মন্দির নির্মাণে পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।