হাজীগঞ্জে অফিস খরচ না দেয়ায় ৪২ জন প্রাথমিক শিক্ষক পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার  ॥ চাঁদপুর হাজীগঞ্জে ৭ উপজেলার প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির জন্য অপেক্ষামান ৩১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪২ জন শিক্ষক অফিস খরচ না দেওয়ায় পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চাঁদপুর জেলাধীন ৮ উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির জন্য অপেক্ষামান ৩১৭জন শিক্ষকের মধ্যে ২৭৫জন শিক্ষকের পদোন্নতি হয়েছে।

গত ১১ জুলাই প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আব্দুল ওয়াহেদ এর স্মারক নং ৩০.০০.০০.০০৮.১২.০৪৩.১৮-৬১৪ স্বাক্ষর মতে পদোন্নতি শিক্ষকদের তালিকা অনুযায়ী দেখা যায় চাঁদপুর সদরে ২৯ জন, কচুয়ায় ৫৭ জন, শাহরাস্তিতে ৩৪জন, হাইমচর ২৫জন, ফরিদগঞ্জে ৫০জন, মতলব উত্তর ৪৫জন ও মতলব দক্ষিণ ৩৫ জন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছে।

পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪২জন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে মারাত্মক চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত শিক্ষকদের দাবী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুলবুলের সহযোগিতায় ও অফিস সহকারী কাউসার আলমের যোগসাজসে উপজেলার ৪২জন শিক্ষককে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের কয়েকজন দাবী করেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত ৪২জন শিক্ষকের কাছে শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মজিবুল হক উপজেলা শিক্ষা অফিসের খরচ বাবদ ১৫’হাজার টাকা করে দাবী করে। পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকরা তাদের চাহিদা মতে ১৫’হাজার টাকা দিতে না পারায় অফিস সহকারী কাউসার আলমের যোগসাজসে মন্ত্রণালয়ে আমাদের পদোন্নতির কাগজপত্র ভুলভাবে উপস্থাপন করে এতে আমরা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

এ নিয়ে সামাজিক যোগা-যোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ঘুষ বানিজ্য নিয়ে পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকরা সরব রয়েছে। অনেক শিক্ষক ফেইসবুকে লেখেন “পরিশ্রমের টাকা ভিক্ষা দেবনা”। আবার কেউ কেউ লেখেন শিক্ষক সমিতির নেতারা টাকার জন্য শিক্ষকদের পকেট কাটছে ঘুষ বাণিজ্য করে। উৎপল মজুমদার নামে একজন লিখেছেন ভিক্ষা চাইনা কারো কাছে ভিক্ষা দেই।

এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা জানান, কাগজপত্রে কিছু ত্রুটি থাকায় সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় কিছু ঝামেলা হয়েছে। তিনি বলেন, সহসায় পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের পদোন্নতি হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে।

পদোন্নতি শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এ প্রসেঙ্গ কিছুই জানিনা। যদি কেউ অফিসের কথা বলে ঘুষ বাণিজ্য করে থাকে, সেটা তাদের বিষয়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কোন শিক্ষকের হাতে পদোন্নতি নাই। তাহলে শিক্ষক নেতাকে টাকা দেবে কেন?

একই রকম খবর

Leave a Comment