ফরিদগঞ্জের কামতা বেইলী ব্রিজ হেলে পড়ায় দু’উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

সাইফুল ইসলাম সিফাত : হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ্য কামতা বেইলী ব্রিজ গত এক মাস ধরে হেলে পড়ায় দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

প্রতিদিনই অনেক যাত্রীসাধারনসহ শত শত যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে দুই পাড়ে আটকা পড়েন । আর এতে করে দুই উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জের সেন্দ্রা থেকে ফরিদগঞ্জের কামতার সাথে দুই হাইওয়ে সড়কের চলাচলের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এ সড়কটির ব্রিজ। গত ৪ বছর ধরে ব্রিজ নির্মাণ করতে গিয়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে কামতা বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবিতে পূর্বের ব্রিজ ভেঙ্গে ঐ স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মানের কাজ শুরু হয়।

এ সুযোগে ঠিকাদার নিজ ইচ্ছামত কাজ শুরু করতে গিয়ে করেন ঘাপিলতি। যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য পাশেই স্থাপন করা হয় পুরানো একটি বেইলী ব্রিজ। যার শুরু থেকে পাটাতন থেকে শুরু করে পাশের এঙ্গেলগুলো ভাঙ্গা।

আর এতে করে বর্ষা ও বৃষ্টির পানি চাপ দেওয়া শুরু করলে বেইলী ব্রিজটি আস্তে আস্তে হেলে যায়। আর এতে করে মিনি ট্রাক, মাইক্র, সিএনজি ও অটো রিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে যে পরিশ্চিতি একটি মটরসাইকেল যাওয়াতো দূরের কথা মানুষ হেটে চলাচল করার কোন সুযোগ নেই।

বেইলী ব্রিজের মত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির দুই পাশও ভেঙ্গে গেছে। দুই পাশে মাটি তুলে বরং যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো দূর্ভোগ করে রেখেছে। কামতা বাজারের নতুন ব্রিজ সেই সাথে সেন্দ্রা টু কামতা সড়কের পাকাকরণ কাজ পায় একই ঠিকাদার।

জানা যায়, ঠিকাদার আবুল কাশেম কন্টেকটার জেলা আওয়ামীলীগের বড় মাপের নেতা। যে কারনে স্থানীয়রা কাজের দ্বীরগতি ও অনিয়ম দেখেও প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ পাচ্ছে না বলে জানা যায়। যে কারনে স্থানীয়রা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন যেন অচিরেই ব্রিজ ও রাস্তা মেরামতের কাজ দূত সম্পন্ন করা হয়।

একই রকম খবর