স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা পুড়য়া ছাত্রী বিয়ে দিতে রাজী না হওয়ায় রাতের আঁধারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা মেয়েসহ তিনজনকে কুপিয়েছে আহত করেছে বখাটে।
বুধবার (৩ জুলাই) ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত মা ও মেয়েকে দেখতে যান চাঁদপুরের জনবান্ধব পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম পিপিএম।
এসময় পুলিশ সুপার মহোদয় মরিয়ম আক্তার সাথীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং পরিবারের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন প্রকার ভয়-ভীতি আতঙ্কের কিছু নেই। পুলিশ প্রশাসন সবসময় আপনাদের পাশে আছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদেরকে দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম পোঁয়া গ্রামের মুকবুল আহাম্মেদের মেয়ে আলিম পরীক্ষার্থী সাথী আক্তার(১৭)কে পাশ্ববর্তী সুলতান আহম্মেদের ছেলে বখাটে ওয়াসিম বেশ কিছুদিন ধরে উত্যক্ত করতো। ঘটনাটি সাথী তার পরিবারকে জানালেও ভয়ে তারা কাউকে কিছু বলেনি। এরই মধ্যে কয়েকদিন পূর্বে তার মেয়ের জন্য অন্যস্থান থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে। কিন্তু তিনি এই মূহূর্তে বিয়ে দিবেন না বলে তাদের বিদায় করেন।
এদিকে সাথীর বিয়ের প্রস্তাব আসার সংবাদ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বখাটে ওয়াসিম। সে ও তার সঙ্গীরা গত রোববার রাতে সাথীর ঘরের জানালা ভেঙ্গে এলোপাথারি কোপায় তাদেরকে। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে মেয়ে সাথীকে কুপিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার উপর এমনকি তিন বছরের শিশু আয়েশা আক্তারকে কুপিয়ে আহত করে তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রাতেই তাদেরকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্থানীয় লোকজন।
সাথীর মা সাহিদা বেগম জানায়, বখাটে ওয়াসিম বেশ কয়েকবার বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বিষয়টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জানান তিনি।