ফরিদগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : বিয়ের ৫ মাস না পেরোতেই তথা হাতের মেহেদীর রঙ পুরোপুরি না মুছতেই যৌতুকের বলী হতে হলো ফরিদগঞ্জের উম্মে কুলছুমা আঁখি(২০)।

বাপের বাড়িতেই নির্যাতন পূর্বক হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুঁলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় আঁিখর স্বামী আমানত শাহ। পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেছে।

এ ব্যাপারে নিহত আঁিখর ভাই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে আঁিখর স্বামী আমানত শাহ , তার ভাই, ভাবী এবং শাশুড়ি বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারী ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ফনিশাইর গ্রামের বড় সর্দার বাড়ির গোলাম সারওয়ারের মেয়ে উম্মে কুলছুমা আঁিখর সাথে পারিবারিক সম্মতিতে শাহারাস্তি উপজেলার উয়ারুক গ্রামের আজকারি মাইজের বাড়ির মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আমানত শাহের সাথে বিয়ে হয়।

আঁিখর ভাই শাহাদাত জানায়, কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর হতেই যৌতুকের জন্য আঁিখর সাথে তার স্বামী ও পরিবারের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত ১ মে বুধবার আঁিখ তার বাপের বাড়ি ফরিদগঞ্জে চলে আসে। এর পর গত ৫ মে রোববার তার স্বামী আমানত আঁিখদের বাড়িতে আসে। ওই রাতে আঁিখ ও তার স্বামীর সাথে ঝগড়ার হয়। পরদিন সোমবার সকালে আঁিখর ঝুলন্ত লাশ ঘরের আড়ার সাথে পরিবারের লোকজন দেখতে পায়। তবে স্বামী আমানত শাহ এর পূর্বেই পালিয়ে যায়।

সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আঁিখর ভাই শাহাদাত বাদী হয়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতন পূর্বক হত্যার অভিযোগ করে সোমবার ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জাকারিয়া জানান, পোস্ট মর্টেম রির্পোট আসলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। এছাড়া মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

একই রকম খবর

Leave a Comment