ফরিদগঞ্জে স্বামীর ১৮ লাখ টাকা ও গয়না নিয়ে ৪ সন্তানের জননী উধাও

স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় দেড়যুগ ধরে প্রবাস জীবনে আসা যাওয়ার মাঝে একবারে দেশে এসে স্ত্রী’র কাছে লক্ষ লক্ষ টাকার হিসাব চাওয়ায় ৪ সন্তানের জননী এক সন্তানসহ নগদ টাকা গয়না নিয়ে গত এক মাস ধরে নিঁখোজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্ত্রী সন্তান ও লাখ টাকার শোকে এখন পাগলের মত জীবন যাপন করছেন প্রবাস ফেরৎ বিল্লাল হোসেন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ভাগপুর গ্রামে।

থানায় নিখোজ ডায়েরী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাগপুর গ্রামের মৃত আ. জলিলের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাকেরপুর গ্রামের ইসমাইল গাজীর মেয়ে মনোয়ারা বেগমের বিয়ে হয় গত প্রায় দেড়যুগ পূর্বে।

বিয়ের পর স্বামী বিল্লাল জীবিকার টানে কুয়েত রাষ্ট্রে পাড়ি জমান। প্রবাস থেকে ৪/৫ বছর পর পর দেশে কিছু দিনের জন্য থেকে পুনরায় বিদেশ চলে যান। এরই মধ্যে তাদের সংস্বারে জন্ম নেয় চার সন্তান।

প্রবাসে থাকাকালীন স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের নামে লাখ লাখ টাকা পাঠান স্বামী বিল্লাল। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষ করে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারী মাসে একবারে দেশে চলে আসেন।

প্রবাসী বিল্লাল দেশে এসে ব্যবসার উদ্দেশ্যে স্ত্রী’র কাছে তার পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে দেই দিচ্ছি বলে দিনের পর দিন তালবাহানা শুরু করে দেয়। গত ৩ এপ্রিল ৯ বছরের ছোট ছেলে মাঈনুদ্দিনকে সাথে নিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবী করেন স্বামী বিল্লাল হোসেন।

স্বামী বিল্লাল হোসেন বলেন, স্ত্রী সন্তানের মায়ায় প্রবাস থেকে একবারে দেশে এসেছি। দেশে ব্যবসা করার লক্ষে স্ত্রী’র কাছে আমার পাঠানো টাকার হিসাব চাইতে গিয়ে এমন দূর্ঘটনা ঘটায়।

ব্যাংকে থাকা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণ এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার-দেনার নাম করে আরো ৩ লক্ষ টাকাসহ আমার ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে নিঁখোজ হয়ে যায়।

এ ঘটনায় আমি থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছি এবং স্ত্রী সন্তানকে ফিরে ফেতে আরো একটি অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি কেউ এদের দেখা পায় তাহলে এই ০১৬৪৩১৮৫৮২২ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন স্বামী বিল্লাল হোসেন।

প্রবাসীর বড় ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, বাবা দেশে আসার পর মায়ের কাছে ধার-দেনার হিসাব চান। আমার মা বাবার টাকা-পয়সার হিসেব না দিয়ে কাউকে না বলে আমার ছোট ভাইকে নিয়ে নিঁখোজ হয়। প্রশাসনের প্রতি আমাদের একটাই চাওয়া মা ও ভাইকে যেন খুঁজে পাই।

একই রকম খবর