বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও

………………………………………………… সোহেল রুশদী ………………………………………………….

বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না। তুমি এখন আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছো। কেন জানি বারবার স্মৃতিতে ভাসছো এখন তুমি। তোমার শূন্যতা সারাক্ষণ আমাকে পীড়া দিচ্ছে।

এতোদিন বুঝতে পারিনি, যখন তুমি ছিলে। আসলে দাঁত থাকতে আমরা দাঁতের মর্যাদা দিই না। এখন তুমি নেই। বাবা তুমি সবসময় বলতে তুমি যখন পৃথিবীতে থাকবে না তখন বুঝবে। সে কথাই শতভাগ সত্যি। এখন বুঝছি। কিন্তু এখন প্রতিটি মুহূর্তে তোমার শূন্যতা অনুভব করছি। আর কখনো তোমাকে বাবা বলে ডাকতে পারবো না।

কখনও তোমার মোবাইল ফোন থেকে রিং আসবে না। এ কথা ভাবলেই যেন আমার বুকটা ধড়ফড় করে। মনের অজান্তে চোখ ভিজে যায়।

কিভাবে সামাল দিবো নিজেকে জানি না। কোনো শান্তনাই যে আমার মনকে মানাতে পারছে না। আমার যত অর্জন তোমাকে ঘিরে। আমি এখন কাকে এসব বলবো। তুমি ছিলে আমার প্রেরণা।

বাবা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না। চিকিৎসার কোনো কমতি ছিলো কিনা সারাক্ষণ তাই ভাবছি। অনেক কিছু করার ছিলো, কিন্তু করতে পারিনি। নিজের বিবেকের কাছে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন : বাবাকে বাঁচাতে আর কী করতে পারতাম? কেন করিনি? নিজেকে অপরাধী মনে হয়। কেন বাবার সকল চাহিদা পূরণ করিনি! নিজের ব্যর্থতাগুলো আমাকে বারবার তাড়া করে ফিরছে।

বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও। তুমি এখন পৃথিবীতে নেই। আছে শুধু তোমার স্মৃতি। এখন তোমার স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে চেষ্টা করছি। শুধু দোয়া করছি আল্লাহ তোমাকে জান্নাতবাসী করুক।

(উল্লেখ্য : গত ৪ জুলাই বুধবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে আমার পিতা চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অ্যাডঃ মোঃ তাহের হোসেন রুশদী ঢাকা শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)।

লেখক : মরহুমের ছোট ছেলে
এবং প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক চাঁদপুর খবর।

একই রকম খবর