স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট মধ্য বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে হঠাৎ গ্রামীণ ফোনের টাওয়ারের জেনারেটর থেকে গত ৯ মার্চ দুপুর আড়াইটায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িদের সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু অর্থলোভী মানুষের প্রতারনার ফাঁদ সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংবাদ কর্মীকে গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে পুড়ে যাওয়া বাটা দোকানের মালিক মোঃ এম,এ রহমান সহ অন্যান্যরা জানান আমরা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িগন গ্রামীণ ফোনের টাওয়ারের জেনারেটর থেকে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় ব্যবসায়িদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতির ক্ষতিপূরণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িগণের জোরালো দাবীর প্রেক্ষিতে গ্রামীন ফোন টাওয়ার কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িদের কিছু ক্ষতিপূরন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া সত্বেও কোন ধরনের সহযোগীতার জন্য কেউ এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। ফলে এ আশ্বাসকে ঘিরে যতদিন গত হচ্ছে ততই দায়িত্ব প্রাপ্ত অসাধু ও স্বার্থান্বেশী মহল বিষয়টিকে ঘোলা পানিতে মাছ ধরার মত অবস্থার সৃষ্টি করছে।
গত ১৭ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর (উত্তর) এর ফায়ার সার্ভিস অফিসার মোঃ ফরিদ ও কুমিল্লা অঞ্চল প্রধান রতন সাহেব অনুসন্ধানে আসেন।
হঠাৎ অসুসন্ধানে আসায় ক্ষতিগ্রস্থ অনেক ব্যবসায়িগন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারেননি। তাছাড়া ১৪নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর খানা বাহাদুর না থাকার কারনে এ সুযোগে ফায়ার সার্ভিসের অনুসন্ধানী কর্মকর্তাদের স্থানীয় স্বার্থান্বেশী কিছু ব্যক্তি ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, যা অত্যান্ত দুঃখজনক।
৯ মার্চের আগুনের ঘটনাটি ঘটে মুলত গ্রামীণ ফোনের টাওয়ারের জেনারেটর থেকেই। যা পরদিন ১০ মার্চ সকাল ১০টায় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর খান বাহাদুর, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান, সেক্রেটারী আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির দুলাল মাল সহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িগন বারেক সুপার মার্কেটের পাশ থেকে উদ্ধার করে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যালয়ে এনে রাখে।
কিন্তু অতী দুঃখজনক হলেও সত্য বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার স্বার্থে বাটার দোকানে পুড়ে যাওয়া পরিত্যাক্ত জেনারেটরের অংশ বিশেষ নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ন্যায় স্বার্থান্বেশী মহল বিভিন্নভাবে প্রচার করে। তাই আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকগণের ফায়ার সার্ভিসের কুমিল্লা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের কাছে বিনিত
আবেদন এই যে, সত্য ঘটনা যেটি তা হলো গ্রামীন ফোনের জেনারেটর থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে যা দুর্ঘটনার দিন সময় টিভি, চ্যানেল আই, এন টিভিসহ, জাতীয় ও চাঁদপুরের সকল দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িগনের প্রাণের দাবী সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের প্রাপ্তী অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, পৌরসভা অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে যে কোন অনুদান ও ক্ষতিপূরন প্রদানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের একান্ত আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।