বালিয়ায় স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ : আটক ১

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদপুরে প্রেমে ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সদর উপজেলায় ১০ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে তার ঘর থেকে জোর পূর্বক হাত-পা-মুখ ও চক্ষু বেঁধে কাঁদে করে নিয়ে বাড়ির পার্শের জঙ্গঁলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ করেছে, স্কুল ছাত্রী ও তার মা সেলিনা বেগম।

ধর্ষণের পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলা রক্তাক্ত আহত ছাত্রীকে শুক্রবার রাত ২টায় চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেস্টার জন্য স্কুল ছাত্রীকে স্থানীয় মেম্বার মো: ছিদ্দিকুর রহমান ও এলাকার কতিপয় মোড়ল স্থানীয় (প্রা:) তিনটি হাসপাতালে ভর্তির চেস্টা করলে ও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে, ধর্ষনকারী নর-পিচাশ রুবেল ছৈয়ালের মামা চান্দ্রা ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার মো: ছিদ্দিকুর রহমান।

ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার রাত ১০টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া ছৈয়াল বাড়ির পিছনে একটি জঙ্গঁলে। স্কুল ছাত্রীর অভিযোগ এ ঘটনায় রুবেলকে সহযোগিতা করেছে, তার ভগ্নিপতি এলাকার আরশাদ ছৈয়ালের ছেলে মো. হারুন-অর-রশিদ ছৈয়াল ওরফে হারুন।

এ ঘটনায় শনিবার চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার পর শনিবার বিকেলে তার বড় ভাই মো: মাসুদ দেওয়ান বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে,চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া বাখরপুর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির ওলি উল্লাহ্র ছৈয়ালের ছেলে মো: রুবেল ছৈয়াল (২৫) একই বাড়ীর পার্শ্ববতী মৃত ছানাউল্যাহ্ দেওয়ানের মেয়ে বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী (ছদ্ম নাম) সৌখিনাকে দীর্ঘ দিন যাবত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়।

এতে রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে সৌখিনাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে রুবেল অভিভাবকের মাধ্যমে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রীকে কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে থাকে।

বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার কথা শুনে সৌখিনার মা”সেলিনা বেগম সরাসরি প্রস্তাব নাখোজ করে দিয়েছে এবং বলেছে তার মেয়ে এখন ও নাবালিকা।

এদিকে রুবেল বিভিন্ন সময় স্কুল ছাত্রীকে উক্তাক্ত করায় এলাকাবাসী রুবেলকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে ব্যবসা করার জন্য বিচার করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। গত কয়েকদিন পূর্বে রুবেল ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে পুনরায় স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে কোন সাড়া পায়নি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় তার ভগ্নিপতি এলাকার আরশাদ ছৈয়ালের ছেলে মো:হারুন-অর-রশিদ ছৈয়াল ওরফে হারুন কে সাথে নিয়ে স্কুল ছাত্রীর মায়ের অনুউপস্থিতিতে তাদের ঘরে ডুকে তাকে বাড়িতে একা পেয়ে তাদের ঘর থেকে জোর পূর্বক রুবেল ও তার ভগ্নিপতি হারুন স্কুল ছাত্রীকে প্রথমে চক্ষু ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তার হাত-পা বেঁেধ কাঁদে করে নিয়ে বাড়ির পার্শের জঙ্গঁলে নিয়ে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে, বিয়েতে রাজী হওযার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে বলে স্কুল ছাত্রী জানায়।

স্কুল ছাত্রী এতেও রাজী না হওয়াতে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করা হয় বলে ঐ ছাত্রী জানান। পরে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে জঙ্গঁল থেকে তুলে এনে রুবেলদের গরুর ঘরের পিছনে ফেলে রাখা হয়।

স্কুল ছাত্রীর মা তাকে না পেয়ে খুজতে খুজতে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষনকারী রুবেলের পরিবার ছাত্রীর শরীরে থাকা কাপড় সেলোয়ার,কামিজ খুলে রেখে তাদের ঘর থেকে পুরাতন সেলোয়ার ও কামিজ পরিয়ে তাকে চাঁদপুরে পাঠায়। পরে রুবেলের মামা ছিদ্দিক মেম্বার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্কুল ছাত্রীকে চাঁদপুর এনে শহরের নাভানা, মিডল্যান্ড ও প্রিমিয়ার হামপাতালে নিয়ে ভর্তি করার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে তোপের মুখে পড়ে তার সাথের লোকজনসহ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

পরে স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক তাকে শুক্রবার রাত ২টায় চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে এনে গাইনি বিভাগে ভর্তি করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার এস আই বিপ্লব শনিবার বিকেলে লম্পট রুবেলকে আটক করেছে তার বাড়ি থেকে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওলি উল্লাহ্ ওলি জানান, ধর্ষণের খবর শুনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা দেয়নি ভিকটিমের পারবার। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই রকম খবর

Leave a Comment