শাহরাস্তিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ

স্টাফ রির্পোটার : চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে মো: সজিব নামে এলাকার এক বখাটে যুবক। একই কায়দায় পূনরায় ভয় দেখিয়ে গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় ধর্ষক সজিব তাদের গ্রামে বাসার ছাদে ধান রাখার কক্ষে ঐ কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।

বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বখাটে সজিব পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। ধর্ষক সজিব কিশোরীর পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলাসহ নানা মাধ্যমে হুমকি ধমকি দিয়ে ঘটনাটি দামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে কিশোরীটিও প্রাণের ভয়ে এবং লোক লজ্জায় বিষয়টি এতদিন কাউকে জানায়নি।

কিশোরীর ভাই মহিন উদ্দিন ও এলাকাবাসী জানায়, শাহরাস্তি উপজেলার আয়নাতলির সংহাই গ্রামে তাদের বাড়ি। তার বাবা মো: মিজান ২য় বিয়ে করে তাদের ছেড়ে সিলেট চলে যায়। তাদের আর কোন খবর রাখে না। সে তার মা ও বোনকে নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে।

তার বোন আয়নাতলী ফরিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের নূরে আলমের ছেলে সজিব দীর্ঘদিন যাবত তার বোনকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। গত ১জুন সজিব তার বোনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তিতে ১৩ জুন সন্ধ্যায় সজিব তার ঘরের ছাদে ধান রাখার কক্ষে নিয়ে গিয়ে তার বোনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পূণরায় জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।

তার বোন এসময় চিৎকার দিলে স্থাণীয় এলাকাবাসী টের পেয়ে পুলিশ খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বখাটে সজিবও পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। বিষয়টি নিয়ে শালিশি বৈঠক হবে বলে আশ^স্থ করলেও বখাটে সজিবের এলাকায় প্রভাব থাকায় আর বসা হয়নি।

মেয়েটির ভাই মহিন উদ্দিন আরো জানায়, বিষয়টি সমাধান না পেয়ে অসহায় হয়ে তার বোনকে ২০জুন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং চিকিৎসা নেয়।

মামলার জন্য শাহরাস্তি মডেল থানায় গেলে থানা পুলিশও বেশ গড়িমসি করে। উপায়ন্তন না পেয়ে ২১ জুন সে বাদি হয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কাছেও দিয়েছেন লিখিত অভিযোগ।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান,বিষয়টি আমি যতটুকু শুনেছি প্রেম ঘটিত। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। দোষী ব্যক্তি অবশ্যই শাস্তি পাবে।
এদিকে মেয়েটিকে উদ্ধারের ঘটনা স্বীকার করে শাহরাস্তি মডেল থানার উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এ ব্যাপারে ঘটনার শিকার কিশোরীটি জানায়, সজিব দীর্ঘদিন যাবত তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। বহুবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। এক পর্যায় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের গ্রামে বাসার ছাদে ধান রাখার কক্ষে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

এঘটনা কাউকে বললে সজিব তাকে এবং তার ভাইকে খুন করবে বলে জানিয়ে দেয়। প্রাণের ভয়ে এবং লোক লজ্জায় বিষয়টি এতদিন কাউকে জানায়নি সে।

অসহায় ধর্ষিতা কিশোরী ও তার পরিবার ধর্ষক সজিবের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং জীবনের নিরাপত্তা চান।

একই রকম খবর

Leave a Comment