প্রেস বিজ্ঞপ্তি : চাঁদপুর সদর উপজেলার মাহামায়া গরীব দূঃখী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি রাজিব সহ মালিক সদস্য তার তিন ভাই গ্রাহকদের প্রায় কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে ঢাকায় প্লাট বাড়ি ক্রয় ও বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সমবায়ে, থানায় ও ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা সমবায় কার্যালয় ও গ্রাহক সূত্রে জানা যায়, সমিতিটি ২০১২ সালে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন পায়। সমিতির সভাপতি সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের রাজিব, তারই ভাইসহ আরো কয়েকজন মালিক ছিলেন।
সমিতির ৫টি শাখা অফিস খুলে। প্রধান কার্যালয় মহামায়া বাজার এবং শাখা অফিস চাঁদপুর ফয়সাল মার্কেটে, হাজীগঞ্জ বাজারে, শাহরাস্তি দোয়াভাঙ্গা বাজারে ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব বাজারে এ সকল শাখা অফিস খোলে।
সমিতির সভাপতি প্রতারক রাজিব লোভনীয় লভ্যাংশের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে এককালীন আমানত ও ডিপিএস করে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ সমিতিতে প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার গ্রাহক ছিলো বলে জানা যায়। এ সকল টাকা আমানত এনে নাম মাত্র ২ থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করে। আর বাকি টাকা সভাপতি ও তার পরিবারের অন্যান্য মালিক সদস্যরা মিলে আত্মসাৎ করে।
৩ বছর সমিতির কার্যক্রম চলার পরে গ্রহাকরা যখন তাদের আমানত ও ডিপিএস এর টাকা ফেরত চাইতে আসে তখনই তারা তালবাহানা করতে থাকে এবং তাদের টাকা ফেরত দিতে পারেনা। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে তারা তাদের শাখা অফিসগুলো গুছিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পায়তারা করে। এসময় গ্রাহকরা বিষয়টি জানতে পেরে অফিসে গিয়ে হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে সমিতির সভাপতি রাজিব, তার ভাই বিভিন্ন স্থানে গ্রাহকরা একাধিকবার আটকিয়ে রেখে টাকা ফেরত পেতে মারধর করে। এসময় কয়েকবার তাদেরকে জনরোশানলের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে। এরপর ২০১৬ সালে তারা বাড়ি ঘর বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে উধাও হয়ে যায়।
গ্রাহকরা বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পায়নি। পরবর্তিতে বিভিন্ন গ্রাহকরা জানতে পারে প্রতারক সাইফুল ও তার ভাইয়েরা মানুষের এ সমস্ত টাকা নিয়ে ঢাকা ফ্লাট কিনে এবং বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগ করে।
এ প্রতারকদেরকে আইনের আওতায় এনে আমানতের টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভোক্তভোগী গ্রাহকরা।