অবৈধভাবে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে মারুফ মজুমদারের বালুর ব্যবসা!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে একটি স্বার্থান্বেষী মহল মূল সড়কের নিচ দিয়ে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে সড়ক ধ্বংস করছে। এই সড়কের চাঁদপুর থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত বহু স্থানে এই ধরনের ড্রেজার পাইপ বসানো হয়েছে বলে জানা যায়। চাঁদপুর শহরের ওয়াপদা গেইট এলাকায় এমন পাইপ বসানো হয়েছে।

জানা যায়, চাঁদপুর শহরের ১৩নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা গেইট সংলগ্ন মেঘনা-ধনাগোদা অফিসের সম্মুখ স্থানের সড়কে স্থানীয় মারুফ মজুমদার ওরফে মারুফ মিস্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মহল তাদের স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু ব্যবসার নামে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে বিভিন্ন ভূমি ভরাট করছে। তারা পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিয়ে উক্ত স্থানে সড়কের কার্পেটিং এবং মাটি কেটে সুড়ঙ্গ তৈরি করে ড্রেজারের পাইপ বসিয়ে রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে পাইপ নিয়ে মাটি ভরাট করছে।

এতে করে রাস্তার মাটি সরে গিয়ে ফাটল সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে এবং যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, রাস্তা ভেঙ্গে যানবাহন চলাচল ও জনসাধারণের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ারও উপক্রম হয়েছে।

এ সড়ক দিয়ে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করলেও গুটিকয়েক লোক ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্যে জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সড়কটির এতো বড় ক্ষতি করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি। দিনের আলোতে প্রকাশ্যে এ অবৈধ এবং অনৈতিক কাজ চললেও এটি যেনো কারো চোখেই পড়ছে না।

জানা যায়, স্থানীয় মারুফ মজুমদার ওরফে মারুফ মিস্ত্রী গং মৈশাদী, খলীশাডুলীসহ উক্ত এলাকায় প্রভাব দেখিয়ে এবং প্রশাসনের দু-একজন ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে সাধারণ জনগণকে হুমকি-ধমকি দিয়ে দীর্ঘদিন এ এলাকায় ড্রেজিং বা বালু ভরাটের কাজ করছেন। এদের কাছে সাধারণ জনগণ অনেকটাই জিম্মি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রতন কুমার চক্রবর্তী জানান, এ বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমরা আজ (বুধবার) সেখানে গিয়েছি। মারুফ মজুমদারকে ২ দিনের সময় দিয়েছি। এরমধ্যে আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে তার স্থাপনকৃত পাইপ সরিয়ে ফেলতে হবে। মারুফ মজুমদারও বলেছে খুলে ফেলবে। এরপরও যদি সমাধান না হয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

একই রকম খবর