মৈশাদীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের কাজ চলছে

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ৪০ দিনের প্রকল্পের কাজ যথা নিয়মে চলছে।

এ প্রকল্পে মৈশাদীতে ২য় প্রর্যায়ের ৪টি চলমান প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে ২নং ওয়ার্ডের মৈশাদী সালমান ফার্সি তফিজুল কোরআন মাদ্রাসা হতে ডাক্তার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত, ৪নং ওয়ার্ডের আহমেদ মালের বাড়ি থেকে পীর সাহেবের মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা মেরামত, ৮নং ওয়ার্ডের হামানকর্দ্দি ছলেমানের দোকান হতে মুন্নাফ মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত, ৯নং ওয়ার্ডের হামানকর্দ্দি শাহতলী বাজার হতে সহিদ গাজীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত । এ সব প্রকল্পের কাজ যথা নিয়মে দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে।

দেশের গ্রামীন জনপদের উন্নয়ন ও অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের বাস্তবায়ন করেছে। মৈশাদী ইউনিয়নে সে প্রকল্প ব্যাপক হারে কাজ করছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, চাঁদপুর হাইমচর-৩ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের রুপকার, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির একান্ত আস্থাভাজন জেলার শ্রেষ্ঠ মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিকের মনিটরিংয়ে চলমান প্রকল্পের সভাপতিগণ সঠিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার চেয়ারম্যানের উপর সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে।

মৈশাদীতে দ্বিতীয় কিস্তির ৪০ দিনের প্রকল্পের জন্য ১০ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে, যার বিরপীতে শ্রমীক রয়েছে ১ শত ৩৪ জন। এরমধ্যে ২নং ওয়ার্ডে ৩৪ জন শ্রমিকের জন্য ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা, ৪নং ওয়ার্ডে ৩৪ জন শ্রমিকের জন্য ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা, ৮নং ওয়ার্ডে ৩৩ জন শ্রমিকের জন্য ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ৯নং ওয়ার্ডের ৩৩ জন শ্রমিকের জন্য ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজের ব্যাপক অগ্রগতি ও যথা নিয়মে হওয়ার কারনে এলাকাবাসী কাজের কন্তুষ্ঠ প্রকাশ করেছে।

গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৈশাদী চলমান প্রকল্পগুলোর শ্রমিক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের দেওয়া নিয়মানুসারে চলছে। প্রতিটি প্রকল্পে নির্ধারিত শ্রমীক ধারাই কাজ হচ্ছে।

মৈশাদী ইউপি সচিব আবু বকর মানিক বলেন সরকারের বেধে দেওয়া নিয়মেই মৈশাদীতে প্রতিনিয়ত কাজ হচ্ছে। সরকার গ্রামীণ জনপদ উন্নয়নের জন্য সরকার ৪০ দিনের প্রকল্পের কাজ চালু করেছে। সে প্রকল্প যাতে সঠিক নিয়মে হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা পিআইও ও ইউপি চেয়ারম্যান সব সময় কাজের মনিটরিং করে কাজের খোঁজ খবর নিচ্ছে।

এ বিষয়ে রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক বলেন , বর্তমান সরকারের প্রতিটি প্রকল্প মৈশাদীতে যথা নিয়মে হচ্ছে। মৈশাদীতে যে কোন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম হওয়ার কোন প্রকার সুযোগ নেই। মৈশাদীতে ৪০ দিনের প্রকল্পের কাজগুলো সঠিক নিয়মেই চলছে। মৈশাদীকে একটি আধুনিক ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মৈশাদীর অভিভাবকের আসনে বসেছি। সে স্বপ্ন নিয়েই কাজ করছি।

একই রকম খবর