চাঁদপুর খবর রিপোর্ট ঃ চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুরের উন্নয়নের রুপকার, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির একান্ত স্নেহভাজন ত্যাগী আ’লীগ নেতা, মোঃ নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীকে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে ফের দেখতে চায় ইউনিয় আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতৃবৃন্দ।
মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশের সৈনিক নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই জাতির জনকের আদর্শকে বুকে লালন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছে। তিনি মৈশাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে আসলে মৈশাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবে।
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনেও তিনি দলের প্রার্থীর পক্ষে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কাজ করেছে। এ জন্য ইউনিয়নের তৃনমূল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীকে আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে দেখতে চান।
নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনক হিসেবে মৈশাদীতে আওয়ামী লীগের পরিবারের কাছে পরিচিতি লাভ করেছেন। লোভ লালশার উদ্ধে থেকে তিনি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। মৈশাদীর খেটে খাওয়া দিন মজুর থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের যোগ্য অভিভাবকের আসনে ইতিমধ্য নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী অদিষ্ট হয়েছেন।
স্থান করে নিয়েছেন সকলের হৃদয়ের মাঝে। আসন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলনে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে নির্বাচিত করার জন্য মৈশাদীর তৃণমূলের আওয়ামী লীগ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ জে আর ওযাদুদ টিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আলী এরশ্বাদ মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক আইউব আলী বেপারীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
মোঃ নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী। বাড়ি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামে। তার বাবার নাম মেহের উল্লাহ পাটোয়ারী এবং মায়ের নাম শামছুন নাহার।
তিনি ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি নিজ এলাকা দিয়ে ভারতে চলে যান। পলাশিতে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। কর্মজীবন : স্বাধীনতার পর মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করেন। ১৯৯২ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং ২০০৮ সালে সচিব হিসেবে অবসর নেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদান : ১৯৭১ সালের ২৯ অথবা ৩০ অক্টোবর দুপুর ১২টা। চাঁদপুর নৌবন্দরসংলগ্ন স্থানে বার্মা ইস্টার্নের তেলের ডিপো। বন্দর ও সংলগ্ন তেলের ডিপো, চারদিকে শত্রুর জোরদার নিরাপত্তাব্যবস্থা। দিনে-দুপুরে সেখানে অপারেশন চালানো দুঃসাধ্য এক কাজ। সব উপেক্ষা করে সেখানে অপারেশন চালান নৌকমান্ডো মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী ও ফজলুল কবীর। সঙ্গে তাদের সহযোগী নান্নু নামে স্থানীয় একজন।
দিনের বেলায় চাঁদপুরের বার্মা ইস্টার্নের তেলের ডিপো ধ্বংসে তারা দুজন দুঃসাহসিকতার পরিচয় দেন। দিনে-দুপুরে হঠাৎ বিকট শব্দ। একের পর এক বিস্ফোরণ। দাউদাউ আগুন আর কালো ধোয়ার কু-লী। আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোয়ার কু-লী ক্রমেই বড় হয়ে ওপরে উঠতে থাকল। জ্বলন্ত আগুনের তাপে সেখানে টেকা দায়। ভয়াবহ এক অবস্থা। চারদিকে পাকিস্তানি সেনা আর তাদের সহযোগীদের হতবিহ্বল ছোটাছুটি। আগুনের শিখায় গুরুতরভাবে পুড়ে গেল তাদের কয়েকজনের শরীর। দু-তিনজন তখনই নিহত হলো। জীবনের মায়া-মৃত্যুভয় তাদের ছিল না।
মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী তার সহযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে সফলতার সঙ্গে বিস্ফোরক দিয়ে তেলের ডিপো উড়িয়ে দেন। বিস্ফোরণে তেলের ডিপো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলো। কয়েক ঘণ্টা ধরে হাজার হাজার গ্যালন জ্বালানি তেল পুড়ে নিঃশেষ হয়ে গেল। মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একজন সাহসী নৌকমান্ডো ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আরও কয়েকটি সফল অপারেশন করেন।
১৬ আগস্ট চাঁদপুর নৌবন্দরে, ২৬ অক্টোবর চাঁদপুরে দুটি খাদ্যবাহী নৌকা দখল, ৩০ অক্টোবর চাঁদপুর ডাকাতিয়া নদীর লন্ডন ঘাটে আমেরিকান পতাকাবাহী জাহাজ এমডি লোরেন ধ্বংস, চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের একটি কালভার্ট ধ্বংস, ৫ নভেম্বর চীনা পতাকাবাহী জাহাজে আক্রমণ করেন তিনি। মোঃ নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।