চট্টগ্রাম বিভাগীয় উদ্ভাবনী মেলায় মৈশাদী ইউপি’র অংশ গ্রহণ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের ইউডিসি (তথ্য সেবা) কেন্দ্র চট্রগ্রাম বিভাগয়ীয় জিডিটাল উদ্ভাবনী মেলায় অংশ গ্রহন করবেন।

আগামী ২৮-২৯ ও ৩০ জুলাই চট্রগ্রাম এম এ আজিজ স্টোডিয়ামের প্যাভিলিয়নে জেলার মধ্যে এক মাত্র জেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন মৈশাদী ইউনিয়ন অংশ গ্রহন করনে।

চট্রগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ১১টি ইউনিয়নের ইউডিসি সেন্টার, জেলা প্রশাসনের ১১টি স্টল, এবং ১১ জেলার ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় অংশ গ্রহন করেন। ইতি মধ্যে চাঁদপুর জেলার অংশ গ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের ইউডিসি পরিপূর্ণ একটি ডিজিটাল ইউডিসি সেন্টারে রুপান্তরিত হয়েছে। মৈশাদীর ইউডিসি সেন্টারে মৈশাদীর সকল প্রকার নাগরিক সেবা প্রদান সুনামের সাথে অব্যাহত রেখেছে। মৈশাদীর সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন, তরুন মেধাবী ছাত্রী ছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, জন্ম ও মৃত্যু সনদ পত্র, ওয়ারিশ সনদ পত্র, চেয়ারম্যান সটির্ফিকেট, ব্যবসায়ীক ট্রেডলাইন্সেসহ সকল প্রকাল সেবা এখন ইউডিসির মাধ্যমে অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এ সকল বিষয়গুলো জেলা প্রশাসনের বার বার দৃষ্টিতে এসেছে। মৈশাদীর চেয়ারম্যান এ সব সেবা দেওয়ার জন্য ২০১৭ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের স্থান দখল করে তৎকালীন দেশ সেরা জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুস সবুর মন্ডলের কাছ থেকে ক্রেষ্ট ও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে।

ধর্মের গান বাতাশে উড়ে, এ প্রবাদের বাস্তব প্রমান এখন জেলার শ্রেষ্ঠ মৈশাদী ইউনিয়ন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে সর্বত্র এখন মৈশাদীর সুনামের কথা চাউর হচ্ছে। মৈশাদীর চেয়ারম্যান একজন দক্ষ ও জনবান্ধব চেয়ারম্যান হিসেবে জেলার সবার কাছে পরিচিত লাভ করেছে। মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান নিঃসন্দেহে একজন উদিয়নমান তরুন সমাজ সেবক, মৈশাদীর মানুষের নয়নমনি, আস্থার একমাত্র প্রতীক।

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক মৈশাদী ইউনিয়নের অভিভাবকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মৈশাদীকে আলোকিত ও ডিজিটাল ইউনিয়ন গড়ার লক্ষ নিয়ে কাজ শুরু করে।

সে ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রেখেছে। চাঁদপুর নয়, সারা বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র মৈশাদী ইউনিয়ন হলরুম ডিজিটাল হলরুমে পরিনত হয়েছে। মৈশাদীকে আলোকিত ইউনিয়ন গড়ার প্রত্যায়ের তিনি যে ভাবে শুরু করেছিলেন, তার চেয়ে ও এখন বেশি করে জেলার সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। মৈশাদী এখন পরিপূর্ণ ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে রুপান্তরিত করার চেষ্টা এখনো তিনি অব্যাহত রেখেছেন।

মৈশাদীতে ইতি মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের প্রতিনিধি, বিভাগীয় কমিশনার, সরকারের বিভিন্ন স্তরের বিসিএস ক্যাডারের কয়েকবার প্রদারপণ করেছে।
মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিজস্ব অর্থ্যায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

ইউনিয়ন থেকে মাদক, বাল্য বিবাহ, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নিমূল করার লক্ষে কয়েকবার বিভিন্ন সমাবেশ করেছেন। যাতে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত সমাবেশ সফল ভাবে সমাপ্ত করেছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, চট্রগ্রাম ডিজিটাল উদ্ভাাবনী মেলায় মৈশাদী ইউনিয়ন অংশ গ্রহন করে চাঁদপুরের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে। জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাচিত করায় জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ। মৈশাদী ইউনিয়ন একটি ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে ইতিমধ্যে চাঁদপুরের সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।

এ বিষয়ে মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, মৈশাদীকে চট্রগ্রাম বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় অংশ গ্রহন করার জন্য নিবর্িিচত করায় প্রশাসকের কাছে আজীবন চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন।

তিনি বলেন মৈশাদী ইউনিয়নে চুরি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, চাঁদাবাজ, বাল্য বিয়ে, মাদক ব্যবসা শতভাগ মুক্ত হচ্ছে। ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে করে কোন ধরনের চুরির ঘটনাসহ কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মৈশাদীর কোন স্থানে না ঘটতে পারে। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ব্যাপক হারে কাজ করছে।

তিনি বলেন, মৈশাদী ইউনিয়নকে চাঁদপুরের মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়তে হবে। এ ইউনিয়নের সবাইকে মাদককে না বলতে হবে। যে কোন মূল্যে মৈশাদীকে মাদক মুক্ত করা হবে, মাদকের বিরুদ্ধে মৈশাদীতে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মৈশাদীতে মাদকের বিরুদ্ধে যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা চাঁদপুরের সর্ব মহলে প্রসংশিত হয়েছে।

মৈশাদীর ইউপি সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন আবু বকর মানিক, প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদা বেগম, শিল্পী আক্তার, হাকিম গাজী, ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার কালাম বেপারী, মো. বজলুল গনি জিলন, মোশারফ হোসেন, মো. সেলিম বেপারী, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. বারেক খান, আবুল হোসেন খান, ফারুক সরকার, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সাহিদা বেগম, ইউনিয়ন ইউডিসি পরিচালক মো. কাউছার আলম বিলাস, জেসমিন আক্তার যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে জেলার চেষ্ট চেয়ারম্যানের মুকুট অর্জন করেছেন।

একই রকম খবর

Leave a Comment