স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খন্দকার বাড়ী জাম মসজিদ রাতের আধাঁরে ভাংচুর ও টিউবওয়েল চুরির করার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার দিবাগত রাত ২টায় দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। মসজিদ ভাংচুর ও টিউবওয়েল চুরির ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ নেমে আসে।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথম মসজিদ ভাংচুর করার বিষয়টি মৈশাদীসহ আশপাশের চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি দেখার জন্য অনেকেই ঘটনাস্থলে ছুটে এসে স্বচোক্ষে ঘটনাটি দেখে দুঃখ্য প্রকাশ করে। এলাকাবাসী জেলার শ্রেষ্ঠ, মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিককে অবগত করলে তিনি সাথে সাথে ঘটনার স্থলে তার প্রতিনিধি পাঠান এবং সংবাদকর্মীদের বিষয়টি জানান।
সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, কে বা কারা রাতের আধাঁরে মসজিদের জানাল ভাংচুর করেছে। এ ঘটনার দেশের ইতিহাসে এ প্রথম ঘটেছে। ঘটনাটি অনুসন্ধান করে দুষিদের আইনের আওয়াত্তায় নিয়ে আসার জন্য এলাকাবাসী দাবী করেছে।
খন্দকার বাড়ির একাধিক ব্যাক্তি বলেন, এ মসজিদটি অনেক পুরনো, এখানে কয়েকটি বাড়ির লোক এসে জুম্মার নামাজসহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। আমাদের এ মসজিদ নিয়ে কারো সাথে কোন বিরোধ নেই, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা কিছ্ইু বলতে পারবোনা।
২নং ওয়ার্ড মেম্বার কালাম বেপারী বলেন, আমার ওয়ার্ডে মসজিদ জানালা ভাংচুরের বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখ্য জনক, ঘটনাটি মৈশাদীর আপামর জনতার মানুষ, জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিকের কাছে ঘটনার খবরটি যাওয়ার সাথে সাথেই তিনি আমাকে ঘটনাটি দেখার জন্য পাঠান। আমি সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে এসেছি। সকলকে শান্ত থেকে কে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, অনুসন্ধান করে বের করার জন্য সকলকে বলেছি। এবং বিষয়টি চাঁদপুর মডেল থানাকে অবগত করেছি।
জেলার শ্রেষ্ঠ মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, মসজিদ হচ্ছে ইবাদতের স্থান,শান্তির স্থান, ধর্মপ্রান মুসলমানগন আল্লাহর স্বানিধ্য পাওয়ার জন্য ধর্মভিরু মানুষ মসজিদে এসে ইবাদত করেন। কিন্তু কে বা কারা রাতের আধাঁরে মসজিদের জানালার গøাস ভাংচুর করেছে এবং টিউবওয়েল চুরি করেছে। এটি সত্যি মারাত্মক দুঃখ্য জনক।
মৈশাদী শান্তির ইউনিয়নে, যারা এ অনাকাংক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদেরকে সনাক্ত করতে পারলে পরিষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে পুরস্কার দেওয়া হবে। এ অনাকাংক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তিব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।