চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বড় শাহতলী গ্রামের চৌধুরী বাড়ি নির্বাসী মরহুম হাফেজ চৌধুরীর বসতঘর অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সদর উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে এবং এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সহযোগিতার উদ্যোগে নিয়েছেন প্রশাসন ।
এ ব্যাপারে গতকাল ৩ এপ্রিল দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকায় শাহতলীতে বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা শাহনাজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্র্নয় করে রির্পোট প্রদান করার জন্য শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান নান্টু ও সচিব এমএ কুদ্দুস রোকনকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এর প্রেক্ষিতে গতকাল ৩এপ্রিল (রবিবার) শাহতলী হাফেজ চৌধুরীর বসতঘরে অগ্নিকান্ডের স্থান পরিদর্শন করেন শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মাসুদুর রহমান নান্টু পাটওয়ারী ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এম এ কুদ্দুস রোকন। পরে সচিব জানান ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৫লক্ষ টাকা। সরজমিনে তদন্ত করে অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রতিবেদন পাঠাচ্ছি ।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনে বসতঘরের সকল কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও অক্ষত রয়েছে, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল (শনিবার) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় শাহতলীতে মরহুম হাফেজ চৌধুরী’র বসত ঘরে বিদ্যুতের সটসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহেল কারী দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, প্রাথমিক ভাবে আমরাসহ স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি। পরক্ষনে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।
পরে খবর পেয়ে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও এলাকাবাসী ১ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বাপারে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনপেক্টর জাকির হোসেন দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, আমরা শাহতলী এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ১০জনের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। প্রাথমিক তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারছি, বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এতে তাদের বসতঘরসহ সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মরহুম হাফেজ চৌধুরীর মেঝো মেয়ে দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, আমাদের বিল্ডিং এর কাজ করার প্রায় ৫ লক্ষ টাকা, ৮ভরি স্বর্ণ, ৫টা স্টীল আলমারি, ২টি ফ্রিজ এবং জায়গার গুরুত্বপূর্ন দলিল ও আমাদের ২ভাই ও বোনদের সকল মালামালসহ প্রায় ১৫লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগুন লাগার পর চাঁদপুর বাখরাবাদ গ্যাসের কর্মকর্তা এসে গ্যাসের লাইজার এবং পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা এসে বিদ্যুতের সংযোগ বিছিন্ন করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সহায়তা করে।
মরহুম হাফেজ চৌধুরীর দুই ছেলে। বড় ছেলে মানিক চৌধুরী ও ছোট ছেলে নান্টু চৌধুরী প্রবাসে কর্মরত। অগুনে ছাই হয়ে যাওয়া বসতঘরের অসহায় পরিবারের চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সহায়তা কামনা করে।