চাঁদপুরে জাগরণ সাংষ্কৃতিক কেন্দ্রের বর্ষবরণ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জাগরণ সাংষ্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে বৈশাখী আমেজে একাকার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২২ এপ্রিল চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে তা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অজয় ভৌমিক। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা একসময় আমাদের সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠনে শিক্ষকদের আমন্ত্রণ করে আনতাম। যদি শিক্ষকদের না আনতাম তাহলে আমার সংস্কৃতি উন্নতি হত না। জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তেমনি একটি সংগঠন তারা বৈপ্লবিক ধারায় অনুষ্ঠান করে থাকে। পহেলা বৈশাখ শব্দটি না জানা থাকলে এ অনুষ্ঠান অর্থহীন হয়ে পড়বে। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।

৩০ লাখ শহীদ বাংলার মাটিতে শুয়ে আছে। বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখ যেন না আসে তাই পাকিস্তান শক্তি চেয়েছিল। তাই পহেলা বৈশাখ যে বিশ্বাস করে না সে বাঙালি হতে পারে না। স¤্রাট আকবর পহেলা বৈশাখের প্রবর্তক। তার আমলেই নতুন বছর গণনার জন্য বছরের একটি দিনকে নির্ধারণ করে শুভ হালখাতা খোলা হয়।

পহেলা বৈশাখ আমার দেশপ্রেম। পহেলা বৈশাখ বিশ্বে আমাকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় করায়। এই সংষ্কৃতিকে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, ফেনীর সোনাগাজীতে নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা যাদেরকে মানুষ গড়ার কারিগর বলে থাকি আর সেই শিক্ষকই নুসরাতকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শ্রীলংকায় শত শত মানুষকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এই মঞ্চ থেকে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি গোপাল সাহা, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের বাসুদেব মজুমদার, গণসংগীত শিল্পী মনোজ আচার্যী, উদীচী জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর প্রমুখ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে মনোজ আচার্যী, শিপন খান, নন্দিতা দাস, প্রশিকা সরকার, মেধা, সাকলাইন সঞ্জয়, কবির হোসেন মিজি, নৃত্য পরিবেশন করে সোহানা, নিলা, আকাশ, সাইফুল, রাত্রী, জুয়েল, শান্তা, রবিন, কান্তা ও রিয়াদ।

একই রকম খবর

Leave a Comment