স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের জামতলার আলোচিত সাদ্দাম হত্যার তিন বছর কাল। ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্ব পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে হত্যার করা হয় সাদ্দামকে।
সাদ্দাম হত্যার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি মামলর তদন্ত। আজ পর্যন্ত আসামীরাও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে চরম হতাসা আর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার পরিবার। আগামী কাল শনিবার সাদ্দামের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পরিবারের পক্ষে থেকে দোয়া মুনাজাত আয়োজনের করা হয়েছে।
নিহত সাদ্দামের বড় ভাই মো. রুবেল জানান, মার্ডারের কিছুদিন পূর্বে সাদ্দাম সঙ্গে হৃদয়ের মারামারির ঘটনা হয়। ওই ঘটনায় হৃদয়ের পিতা মোখলেছুর রহমান সাদ্দামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ সাদ্দামকে আটক না করায় রাতে আধারে মোখলেছুর রহমান, তার স্ত্রী মনি বেগম, মেয়ে মুক্তা বেগম, মেয়ের জামাতা মো. রিপন ও ছেলে হৃদয় একত্রিত হয়ে সাদ্দামের বসতবাড়িতে গিয়ে সাদ্দামের ওপরে হামলা করে। তাদের হামলায় আহত সাদ্দামকে প্রথমে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সাদ্দামের চিকিৎসারত অবস্থায় তার বড় ভাই রুবেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।
এই বেপারে চাঁদপুর জজ কোটে মামলা চলছে, মামলার আসামীরা হলেন, জামতলার মৃত ছিডু ভূঁইয়া ছেলে মোখলেছুর রহমান (৫২), কোরালিয়ার রাজ্জাক হাওলাদার ছেলে রিপন হাওলাদার (৩৩), মোহাম্মদ আলী হাওলাদারের ছেলে আতিক হাওলাদার (৩৩), জামতলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান রিদয় (২২), ম্যাথা রোডের সাইফুল ইসলাম (৩৩), জেডিসি কলনি কুলি বাগানের মৃত আরব আলী খানের ছেলে জনি খান (৩৪), মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী মনোয়ার বেগম, রিপন হাওলাদারের স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৪), মোখলেছুর রহমানের মেয়ে রেজভী আক্তার (২২), মেহেদী হাসানের স্ত্রী খাদিজা খাতুন, আরব আলী খানের ছেলে সানি খান ( ২২), জামতলার রহিম গাজীর ছেলে ইকবাল গাজী (২৪), মকবুল হোসেন বেপারী ছেলে সবুজ বেপারী (২২) সহ পনেরো জনের নামে একটি মামলা ছলমান আছে বলে জানান মৃত সাদ্দামের পরিবার।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অনেকে জেল খেটে আবার জামিনে ছাড়া পায়, বর্তমানে আসামীরা হাজতের বাহিরে আছে। সাদ্দামের পরিবার প্রকাশ্যে এই হত্যার দ্রুত প্রশাসনের কাছে বিচারের দাবি করছেন।