হাজীগঞ্জ সংবাদদাতা : হাজীগঞ্জে মৃত্যুর ১০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও মৃত কামাল হোসেনের মরদেহ বেওয়ারিশের মতো পড়েছিল বাড়ীর উঠোনে। স্ত্রী’র দাবী দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে তার ন্যায্য অধিকার আর বাবাতো তার পিতৃ পরিচয় দিতেই নাজার।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিনভর এমন ঘটনা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের মতৈন পাটোয়ারী বাড়িতে ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেলো, বাড়ীর উঠোনে কামালের মৃতদেহ পড়েছে। স্ত্রী ও দুই সন্তান কান্না করছে। আর বাবা ও ভাই বোনেরা ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিতরে অবস্থান নেয়। ২০০১ সালে বিয়ের একমাস পর স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাসা ভাড়া থাকেন কামাল হোসেন। সেই থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব।
খবর পেয়ে ছুটে যান ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজিম উদ্দীন।
মৃত কামালের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, প্রবাসে ১৮ বছর আয়ের টাকা পরিবারের সবাই ভোগ করেছে। স্বামী মারা যাওয়ার নিজের অধিকার দুই সন্তানের ন্যার্য্য পাওনার দাবী তোলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, রাতে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে স্বামীর রেখে যাওয়া বসতভিটা ও দুই সন্তানের নায্য হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার আশ্বাস পেয়েছেন।
মৃত কামাল হোসেনের বাবা আবদুল কাদের জানান, সব সন্তানকে সমবন্টনে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন বলেন, রাত ১২ টার দিকে মৃত কামাল হোসেনের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তাদের পারিবারিক বিরোধ নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া কামালের বাবা কাদের পাটোয়ারী তার ছেলে-মেয়েদের সমবন্টনে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন।