হামানকর্দ্দীতে অফিস সহকারী শাহ কামালের নিখোঁজের বিষয়টি রহস্যময়!

চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : নিখোঁজের ১১দিন পর চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দী দোপা বাড়ির রেখা রানী দাসের (২৬) দোচালা ঘরের কাঁড় থেকে থেকে উদ্ধার হওয়া পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো: শাহ কামাল (৩০) এর নিখোঁজের ঘটনাটি রহস্যময়।

এখনও কোন তথ্য উৎঘাটন করতে পারিনি পুলিশ । সে কি নিখোঁজ হয়েছে নাকি অন্য কিছু তাও বের করা সম্ভব হয়নি ।

১১দিন সে কোথায় ছিলো তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি । এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের কেউ মামলা করেনি বলে গতকাল সোমাবর (১৫ জুলাই) রাতে দৈনিক চাঁদপুর খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেনছেন মামলার তদন্ত কর্মকতা মডেল থানার এসআই ছাদেকুর রহমান।

এসময় তিনি জানান আটককৃত রেখা রানী দাসকে স্থানীয় মেম্বারের জিম্বায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া অফিস সহকারী শাহ কামালকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ কররা হবে।

শাহ কামাল চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দী পল্লীমঙ্গল উবি অফিস সহকারী।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই শাহ কামাল নিখোঁজ হয়। তার স্ত্রী বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় জিডি করে। এরই প্রেক্ষিতে রোবাবর (১৪ জুলাই) বিকেলে সন্দেহের ভিত্তিতে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই ছাদেকুর রহমান অভিযান চালিয়ে হামানকর্দ্দী দোপা বাড়ির রেখা রানী দাসের (২৬) দোচালা ঘরের কাঁড় থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মডেল থানা পুলিশ রেখা রানী দাসকে আটক করে।

কিন্তু শাহ কামাল অসুস্থ থাকায় এখনো নিখোঁজের কারন জানাযায় নি। তবে শাহ কামাল ও রেখা রানীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

জানা যায়, একই এলাকার ধোপা বাড়িতে দীর্ঘ দিন আসা যাওয়ার সুবাদে রেখা রানী দাস ও শাহ কামালের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এঘটনায় নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার শালিসী বৈঠক হয়েছে। কিন্ত রেখা রানীর স্বামী প্রবাসে থাকায় আবারো তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এদিকে গত ৩ /৭/১৯ তারিখে শাহ কামাল ঢাকা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ থাকায় তার স্ত্রী ওমায়া আক্তার বাদী হয়ে ৯/৭/১৯ তারিখে চাঁদপুর মডেল থানায় জিডি করে। জিডি নং ৪২৯।

এরই প্রেক্ষিতে মডেল থানা পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে হামানকর্দ্দি ধোপা বাড়ির রেখা রানী দাসের ঘড়ে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তবে রেখা রানী দাস জানায়, বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় আজ থেকে ৫-৭ বছর আগে আসা যাওয়ার কারনে শাহ কামালের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার শালিসীও হয়েছে।

নিখোঁজ শাহ কামালের স্ত্রী জানায়, শাহ কামাল বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হওয়ায় আমি বাদী হয়ে থানায় জিডি করি এবং আজ (রোববার) বিকেলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

নিভরযোগ্য ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত কাতিক চন্দ্র দাসের মেয়ে রেখা রানী দাসের সাথে প্রায় ৮বছর শাহ কামালের প্রেমের সর্ম্পক ছিলো।

সে সম্পর্কের এ ঘটনায় পুলিশ ধোপা বাড়ীর মৃত কার্তিক চন্দ্র দাসের স্ত্রী বাসন্তী রানী দাস, মেয়ে রেখা রানী দাস ও ছেলে সুমন চন্দ্র দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। পরক্ষণে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুধুমাত্র মৃত কার্তিক চন্দ্র দাসের মেয়ে রেখা রানী দাসকে আটক দেখানো হয়েছে।

একই রকম খবর