স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড় “ফণী”র প্রভাবে নদী উত্তাল হয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করায় হুমকির মুখে পড়েছে
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ। শহর রক্ষা বাঁধের পুরান বাজারের বেশ কয়েকটি অংশে নদীর পাড়ের বøক সরে গিয়ে বড় ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পুরান বাজার পশ্চিম শ্রীরামদি রানাগোয়াল থেকে হরিসভা পর্যন্ত এই জায়গাতে নদীর গভীরতা ৭০ থেকে ৮০ ফুট হওয়ায় এখনকার বøকগুলো আস্তে আস্তে নিচে দেবে যাচ্ছে।
অপরদিকে পুরান বাজার পুরান ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে পশ্চিম বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফেনীর প্রভাবে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন ও হাইমচর উপজেলা চরাঞ্চলগুলোতে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে উত্তাল হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চরাঞ্চলে ঘরবাড়ি, গাছ গাছালি ভেঙ্গে চৌচির হয়েছে।
নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অনেক বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ ধরার ট্রলার ও বিভিন্ন নৌ যান নিরাপদ স্থানে এসে অবস্থান করতে দেখা যায়। কৃষি জমিরতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
চাঁদপুরে প্রস্তুত ছিল ৩১১ টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা ভবনসমূহ (১৪৫০টি) আশ্রয় কেন্দ্র। হাইমচর উপজেলায় নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষদেরকে নিরাপদ স্থানে আনা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। নদী উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতির আশঙ্কায় চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জ রূটের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডাবিøউ কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মাঝি জানায়, আমাদের স্থানীয় এমপি ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষ থেকে নদী এলাকা পর্যবেক্ষণ করছি। শহর রক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান
সংরক্ষণের জন্য ৪০ হাজার বালুভর্তি বস্তা মজুদ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বালু ভর্তি বস্তা ফালানো হবে।
নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী জানায়, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্যোগ দেখা দেওয়ায় মেঘনা নদীর ঢেউ বাঁধের উপর আছড়ে পড়ছে। বাঁধ রক্ষায় জরুরী ভিত্তিতে কাজ করাতে হবে।