বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুর শহরের ১০নং ঘাট এলাকায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল গার্ডেনে অসামাজিক কাজ করায় ৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রী,১যুবক,হোটেল মালিক ও ম্যানেজারসহ ৪জনকে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে।
আটককৃতরা হচেছ, সদর উপজেলার লক্ষীপুর বহরিয়া এলাকার আলাউদ্দিনের ৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া মেয়ে রিপা(১৩),তার সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা যুবক লক্ষীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গুচ্ছ গ্রামের আব্দুর রব মিয়ার ছেলে নূরউদ্দিন(২৬), আবাসিক হোটেল গার্ডেনের মালিক মো: মাসুদ বেপারী ও হোটেলের ম্যানেজার মো: সোহেল হোসেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার দুপুরে শহরের চৌধুরী ঘাট ও ১০নং ফেরী ঘাট এলাকার আবাসিক হোটেল গার্ডেনে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়,চাঁদপুর শহরের চৌধুরী ঘাট ও ১০নং ফেরী ঘাট এলাকার আবাসিক হোটেল গার্ডেনে দীর্ঘ দিন যাবত অসামাজিক কাজ চলে আসছিল।
এখানকার ১০নং ফেরী ঘাট এলাকা দিয়ে পুরানবাজার কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন আসা যাওয়া করে থাকে। সেই সুযোগে একশ্রেনীর যুবক ও যুবতীরা কলেজের শিক্ষার্থীদের মত পোশাক পড়িধান করে শিক্ষাথী সেজে হোটেল মালিকদের সাথে সমজোতার মাধ্যমে হোটেলে প্রবেশ করে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। আর এ সুযোগ দেওয়ার জন্য হোটেল মালিক মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
চাঁদপুর মডেল থানার ও নতুনবাজার পুলিশ ফাড়ির রেকট থেকে জানা গেছে,ইতিপূর্বে এ আবাসিক হোটেল গার্ডেনে পুলিশ একাধিক বার অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত যুবক,যুবতী ও পতিতা,খদ্দেরকে আটক করেছে।
এ সময় হোটেল মালিক মুছলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পেলেও তার পর ও এ ধরনের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচেছ। পুলিশ জানায়,গতকাল সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শন জসিম উদ্দিন জসিম সঙ্গীয় ফোর্সসহ সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে আবাসিক হোটেল গার্ডেনের একটি রুম থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় স্কুল ছাত্রী রিপা ও যুবক নূরউদ্দিনকে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তাদেরকে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে যায়।
আটকদের বিরুদ্বে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানান।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাছিম উদ্দিন জানান, মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের কারনে ৪ জনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে আটকদের বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হোটেল মালিক ও ম্যানেজারকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচেছ।