আহম্মদ উল্যাহ : চাঁদপুরের জনবান্ধব পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম মহোদয় ১০৩ টাকায় ১শ’ ১৫ জনকে কনস্টেবল পদে পুলিশে চাকুরি দিয়েছেন। মাত্র ১০৩ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে আবেদন করে চাকুরি পেয়েছে। সচ্ছভাবে কনস্টেবল পদে চাকুরী পেয়ে মহাখুশী চাঁদপুরবাসী ।
বুধবার (২৬ জুন) মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, চাঁদপুর পুলিশ লাইনের আরও-১।
তিনি জানান, মাত্র ১০৩ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে আবেদন করে ১শ’২৩ পদে মোট ১শ’১৫ জন চাকুরী পেয়েছে। চাঁদপুর জেলায় ১২৩ জন প্রার্থীদের মাঝে সাধারণভাবে পুরুষ ৩৩ জন ও নারী ৬ জন, বিশেষ কোঠায় পুরুষ ২৯ জন ও নারী ৫৫ সর্বমোট ১২৩ পদে ১শ’১৫ জন কনস্টেবলে চাকুরী পেয়েছে।
এর মধ্য মোট মহিলা ৬১ পদে ৫৩ জন চাকুরি পেয়েছেন। আর পুরুষ ৬২ পদের মধ্য ৬২ জনের চাকুরী হয়েছে।
এর আগে গত ২২ জুন চাঁদপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে সকাল ৮টা থেকেই রাত ১২ পর্যন্ত পুলিশ কনস্টেবল পদে শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা’র প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়। রোববার (২৩ জুন) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় পরে ২৫ জুন (মঙ্গলবার) লিখিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অবশেষে বুধবার (২৬ জুন) মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
চাঁদপুরে ১শ’২৩ পদে সর্বমোট ৩৭শ’ প্রার্থী আবেদন করেছেন। প্রথম দিনে শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা’র সময় দেখা মিলেছে হাজারো প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, ১০৩ টাকায় মিলবে পুলিশের চাকরি আর এ নিয়েই চাঁদপুরে ছিলো সকল জল্পনা-কল্পনা। গত ২০ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত জেলার সোনালী ব্যাংকগুলোতে পুলিশ কনস্টেবল পদে আগ্রহী প্রার্থীদের ছিলো উপচে পড়া ভিড়। পুরো জেলায় প্রায় ৭-৮ হাজারের বেশি ব্যাংক ড্রাপট করা হয়েছে বলে, ব্যাংক কর্মকর্তা স‚ত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুরের জনবান্ধব পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, কথা দিয়ে ছিলাম সচ্ছতা ও নিরপেক্ষভাবে ১০৩ টাকার বিনিময়ে চাঁদপুর জেলায় কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে ।করতে পেরেছি কিনা সে বিচারের ভার চাঁদপুরবাসীর নিকট রইল । সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
গত শনিবার ভোর থেকেই প্রার্থীর উপস্থিতিতে সরগরম ছিলো চাঁদপুর পুলিশ লাইনস। উত্তর দিকে জেলা পরিষদ আর পশ্চিমে মঠখোলা পর্যন্ত ছিলো প্রার্থীদের বিশাল লাইন। এছাড়া অভিবাবকদের বিশাল ঢলে পুরো এলাকা জুড়ে বিরাজ করছিলো সরগরম অবস্থা। গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাত্রে ১২ পর্যন্ত চলবে প্রথম ধাপের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে (মাপজোক, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক ফিটনেস, লাফঝাপ, দৌঁড়) সহ নানান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ বাচাই করা হয়। তবে, এবারে প্রার্থীদের আগ্রহ ও চাহিদা স্মরণকালের চাইতে অনেক বেশি, পুলিশ কর্মকর্তাগণের সাথে আলাপকালে এমনটি জানা গেছে।