ক্লাশ ফাঁকি দেয়ায় মতলব দক্ষিণ থানায় ২৪ শিক্ষার্থীকে মুচলেকায় ছাড়

মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি ঃ মতলব দক্ষিণ মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে এসব অপরাধ থেকে বিরত রাখতে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন থানার ওসি একেএমএস ইকবাল।

১৩ আগষ্ট বেলা ১১ টায় উপজেলা সদরের কয়েকটি স্থানে ব্লকরেড দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

নবাগত ওসি মতলব দক্ষিণ থানায় যোগদানের প্রথম দিন থেকেই তিনি মাদক কারবারী, গডফাদার ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দেন এবং চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ীতে প্রতিদিন অভিযান করেন। গত কয়েকদিনের সাঁড়াশি অভিযানে মাদকসহ ১২ জন ব্যবসায়ীকে আটক করে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এবং যারা গ্রেফতার হয়নি তাদের নামেও একাধিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যাক্তিদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজত প্রেরন করা হয়েছে।

মতলব দক্ষিণ থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১ টায় মাদকসেবী ও বখাটেদের ধরতে উপজেলা সদরের ঘোষপাড়া, নিউ হোস্টেল, সিঙ্গাপুরপ্লাজা, ম্যাক্সিস্ট্যান্ড ও কলাদীসহ আরও কয়েকটি এলাকায় বøকরেড দেয়া হয়। ওই সময় এসব স্থানে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা মারছিল বেশ কিছু শিক্ষার্থী। সেখান থেকে ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

এর মধ্যে ১৮ জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এবং ছয়জন কলেজের শিক্ষার্থী। থানার ওসি একেএমএস ইকবাল বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্লাস ছেড়ে বিভিন্ন মোড়ে আড্ডা দিচ্ছিল।

এ সময় তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম একই সময়ে বøকরেড দিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা মতলব সরকারী ডিগ্রি কলেজ ও মতলব জেবি সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। সবার পড়নে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পোশাক ছিল। আটক করার পর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের মুঠোফোনে খবর দেওয়া হয়।

অভিভাবকদের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা আদায় করে কলেজের ছয় শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আটক ২৪ শিক্ষার্থীকে মতলব জেবি সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বোরহান উদ্দিন খানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাহিরে অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হতে না পারে সে জন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা সদরের কলাদী এলাকার এক কলেজছাত্রের মা বলেন, প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়ার কথা বলে তাঁর ছেলে বাসা থেকে বের হয়। তিনি জানতেন না তাঁর ছেলে ক্লাস না করে বাহিরে আড্ডা মারে। এটি খুবই দুঃখজনক।

একই রকম খবর

Leave a Comment